দেশজুড়ে

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর রৌমারীর পাটা ধোঁয়া শাপলা বিল

পাটা ধোঁয়া শাপলা বিল ছবি: কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাদারটিলা গ্রামের পাটা ধোঁয়া শাপলা বিল। শত সহস্র রক্তাভ লাল শাপলায় পুরো বিল ঝলমল করছে। এ যেন প্রকৃতির বুকে আঁকা এক রঙিন নকশি কাঁথা। বর্তমানে পদ্য বিল নামে পরিচিত এই বিলে ভীড় জমছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। 

স্থানীয় এলাকাবাসি জানান, পূর্ব পুরুষরা সকলে মিলে এই বিলে পাট চাষ করতো এবং পাটের আশ ছেড়ে নিতো। সেই থেকে রৌমারী উপজেলায় এটি পাটা ধোঁয়া বিল নামে পরিচিতি পায়। বিগত ৫ বছর হলো এ বিলের জমানো বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর ফুটতে শুরু করে শাপলা ফুল। 

প্রতিবছর আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এখানে শাপলার মৌসুম। প্রায় ১০ হাজার একর জলাভূমির মধ্যে জন্ম নেওয়া লাল, নীল ও সাদা রঙের অজস্র শাপলা । এক নজর দেখার জন্য সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নানা বয়সের হাজারো মানুষ এখানে আস্বাদন নিতে ভীড় জমায়। পর্যটকদের ভীড়ে দিন দিন মুখরিত হচ্ছে এই পাটা ধোঁয়া শাপলা বিল। শাপলার মাঝে বাংলার চিরন্তন রূপ খুঁজে পাচ্ছে এখানকার মানুষ। এ বিলে ভ্রমণের জন্য রয়েছে টাকার বিনিময়ে ছোট আকারের ডিঙি নৌকা। ভোরের সূর্য উদয় ক্ষণে সূর্যের রশ্মি যেন মন পাগল করা এক সৌন্দর্যের লীলাভুমিতে পরিণত করে পাটা ধোঁয়া শাপলা বিলকে।

অটো ভ্যান চালক আামিনুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন এলাকার মানুষ সকাল বিকাল অটোভ্যান যোগে এ শাপলা বিল দেখতে আসে এতে করে আমাদেরও আয় রোজগার হয় এবং এ শাপলা বিল দেখে আমাদেরও সেই ছোট বেলার স্মৃতি মনে পড়ে যায়।

উপজেলার যাদুরচর পাটা ধোঁয়া বিলে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা তানভীর আহমেদ, ফিরোজ মিয়া সুমন মিয়া জানান, সকল কাজের ফাঁকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে ভালই লাগল। তবে ফুল না ছিঁড়তে পরামর্শ দিচ্ছে স্থানীরা।

ঘুরতে আসা ইউনুস আলী বলেন, এখানে ঘুরতে এসে আমাদের অনেক ভালো লাগল। কয়েক প্রকার ফুল ফুটেছে। দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে।

গান গেয়ে বিনোদন দেন এমন এক ব্যতিক্রম নৌকার মাঝি রঞ্জু হোসাইন বলেন, প্রতি বছর এই সময় পাটা ধোঁয়া শাপলা বিলে অনেক ফুল ফোটে। আমার নৌকা দিয়ে যারা ঘুরতে আসে তাদেরকে নিয়ে গান গাই আর শাপলা বিলের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে নিয়ে বেড়াই। তাতে প্রায় প্রতিদিন ৪ শত থেকে ৫ শত টাকার আয় হয়। আমারও তাদের সাথে  ঘুরতে ভালো লাগে।

 জেডএস/ 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন