সাবেক ৪১ মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দুদক
আওয়ামী লীগ সরকারের ৪১ জন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গেলো রোববার আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন এ আবেদন করেন। মন্ত্রী ও এমপিদের অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এই আইনজীবী আবেদন করেন।
দুদক সূত্র সোমবার (১৯ আগস্ট) গণমাধ্যমকে জানায়, আইনজীবীর তালিকায় থাকা ৪১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
অনুসন্ধানের তালিকায় রয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
এ ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বেনজীর আহমেদ (ঢাকা–২০), সরওয়ার জাহান (কুষ্টিয়া–১), শরিফুল ইসলাম জিন্না (বগুড়া–২), শহিদুল ইসলাম বকুল (নাটোর–১), শেখ আফিল উদ্দিন (যশোর–১), ছলিম উদ্দীন তরফদার (নওগাঁ–৩), কাজী নাবিল আহমেদ (দিনাজপুর–৪), এনামুল হক (রাজশাহী–৪), মামুনুর রশীদ কিরন (নোয়াখালী–৩), কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি), মহিববুর রহমান (পটুয়াখালী–৪), মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর–৫), কাজিম উদ্দিন আহম্মদ (ময়মনসিংহ–১১), স্বপন ভট্টাচার্য্য (যশোর–৫), আনোয়ার হোসেন (পিরোজপুর–২), নূর–ই আলম চৌধুরী (মাদারীপুর–১), আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাট–২), শেখ হেলাল উদ্দীন (বাগেরহাট–১), এনামুল হক (রাজশাহী–৪), কামরুল ইসলাম (ঢাকা–২), হাসানুল হক ইনু (কুষ্টিয়া–২), জিয়াউর রহমান (চাঁপাইনবাবগঞ্জ–২) ও শাজাহান খান (মাদারীপুর–২)।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সংসদ সদস্য প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য দিয়ে আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরে। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ওই আইনজীবী দুদকে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের নাম উল্লেখ করে অনুসন্ধানের আবেদন জানান।
এএম/