দেশজুড়ে

ভেঙে গেছে গোমতীর বাঁধ, নির্ঘুম রাত পার করলো কুমিল্লা নগরী

সংগৃহীত

টানা ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে ভেঙে গেছে কুমিল্লা গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ।  বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পার করেছেন কুমিল্লা নগরীর মানুষ। বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর আশপাশের মসজিদের মাইকে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে চলে যাওয়ার জন্য ঘোষণাও দেয়া হয়। যদিও নগরীর ভিতরে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির খবর পাওয়া যায়নি।

গেলো বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টার দিকে জেলার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া নামক স্থান দিয়ে বাঁধটি ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে থাকে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জমান।

তিনি জানান,  সন্ধ্যার পর থেকে একটি ছোট গর্ত দিয়ে বাঁধের নিচ দিয়ে পানি বের হচ্ছিল। স্থানীয় লোকজন বালুর বস্তা ফেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু রাত পৌনে ১২টার দিকে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি  ঢুকতে থাকে। বাঁধের অন্তত ৩০ থেকে ৪০ ফুট ভেঙে গেছে। 

 বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহিদা আক্তার বলেন, বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে ষোলনল, পীরযাত্রা পুর, সদর, ইউনিয়নসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হতে যাচ্ছে।

রাতে নগরীর বাসিন্দা মাহবুব কবীর জানান, তাঁরা খুব আতঙ্কে আছেন। গোমতীর বাঁধ ভেঙে  শহর তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এমনিতেই সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের সড়কগুলো তলিয়ে যায়। যদি গোমতীর বাঁধ ভেঙে যায়, তবে পুরে শহর তলিয়ে যাবে।

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, বেড়িবাঁধের বুড়িচং উপজেলায় একটি স্থানে সমস্যার কথা তিনি শুনেছেন। তবে সদর উপজেলা এবং শহরের পাশ বাঁধে কোনো সমস্যার কথা সুনির্দিষ্ট করে এখনও শোনেননি। 

 প্রসঙ্গত, গেল দুদিনে পানি বাড়ার হিসাব অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে বৃহস্পতিবার বিকেলে ১১৩ বিপৎসীমার সেন্টিমিটার অতিক্রম করে বিগত ২৭ বছরের রেকর্ড ভাঙে গোমতী। সর্বশেষ রাতে ১৩৪ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে।

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন