স্বাধীন-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা চলছে: ফখরুল
স্বাধীন-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা চলছে। ১৫ বছর ধরে চলা রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে জয়লাভ হয়েছে। ছাত্র-জনতা সর্বস্তরের মানুষের সফল অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের পতন ও শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়া এটা বড় বিজয়। বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় পার্টি একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এ সব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রোডম্যাপ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু তুলে ধরেননি। আশায় ছিলাম। নির্বাচন হতেই হবে। তবে সংস্কার করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন হতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।
এ সরকারের কাছে দেশের মানুষের আকাশচুম্বী প্রত্যাশা। প্রধান উপদেষ্টা গতকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। বলেছেন নির্বাচন কবে হবে, তা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত- এ কথা জানিয়ে নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্তে যাওয়ার জন্য রাজনৈতিকগুলোর সঙ্গে দ্রুত আলোচনার উদ্যোগ নেবেন প্রধান উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সচিবালয়ে আনসারদের ঘেরাও কর্মসূচি ও পরে গোলযোগ তৈরির চেষ্টা এটা অশনি সংকেত। যারা পরাজিত তারা এখনও চক্রান্ত করছে, বিজয়কে নস্যাৎ করে দেয়ার জন্য। জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে বন্যা হচ্ছে এটা হতেই পারে, তবে যেভাবে বন্যার পানি এসেছে, এটা ক্রিমিনাল অফেন্স। ভারত তাদের বাঁধ ছেড়ে দিয়েছে, কোনো ঘোষণা না দিয়ে। ভাটির দেশ হিসেবে আমাদের সতর্ক করার দরকার ছিল, সেটা তারা করেনি।
তিনি আরও বলেন, সংকট না, ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি বিপ্লবের মধ্যদিয়ে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রতি আস্থা রয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আর এদেশকে পুলিশি রাষ্ট্র করতে দিতে চাই না। বিএনপির সকল গায়েবি মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করতে হবে এবং অবিলম্বে তুলে নিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সচিবালয় ঘেরাও করে কোনো কিছু আদায়ের চেষ্টা করবেন না, জনগণ ভালো চোখে দেখবে না। দেশে সকল পরিবর্তন এনেছে ছাত্ররা। আমি শিক্ষক হিসেবে আহ্বান জানাতে চাই, অযথা বলপ্রয়োগ করে কোনো কিছু করবেন না। প্রশাসনে এখনও সেই সমস্ত ব্যক্তিকে দেখছি, যারা আওয়ামী লীগ সরকারকে মদদ দিয়েছে, হত্যায় সহযোগিতা করেছে। প্রশ্নবিদ্ধ মানুষদের প্রশাসন থেকে সরিয়ে দিতে হবে। অনতিবিলম্বে দেশপ্রেমিক মানুষকে নিয়ে সরকার চালাতে হবে। অন্যথায় জাতি ক্ষমা করবে না।
কেএস//