বাংলাদেশ

আজ জাতীয় কবির ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছবি: সংগৃহীত

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের আজ ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। কাজী নজরুল এমনই একজন; যার কাছে বিদ্রোহ, প্রেম, ভালোবাসা- সব মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। 

রাজধানী ঢাকার পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) ১৯৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র মৃত্যুবরণ করেন বাংলার এই কবি। তাকে কত ধারায় যে আলাদা করা সম্ভব, তা বলাই বাহুল্য। এত বেশি বৈচিত্র্যময় এক জীবন কাজী নজরুলের, যা ব্যাখ্যার অতীত হয়ে ওঠে।

কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে। তার ডাকনাম ছিল 'দুখু মিয়া'। দুঃখের সঙ্গে নজরুলের বড় হওয়া, সেখান থেকেই নাকি দুখু মিয়া নাম হয়েছে তার। 

মাত্র ২৩ বছর কাজী নজরুল তার সৃষ্টিকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে বাংলা সাহিত্য, সঙ্গীত, গজল- নানা জায়গায় তার বিস্তৃতি ঘটেছে। শাসনের দেশে শোষণের গল্প লিখেছেন তিনি। সাধারণ মানুষের পক্ষে বারবার কলম উঁচিয়ে ধরেছেন নজরুল।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে কাজী নজরুল ইসলামকে পরিবারসহ বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাকে জাতীয় কবির মর্যাদা দেয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে কবিকে সম্মানসূচক ডি–লিট উপাধি প্রদান করে। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়। সেই বছরই ২১ ফেব্রুয়ারি নজরুলকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। 

কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি রাখা হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকেও রাখা হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। 

এম এইচ// 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন