শেষ হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীদের আল্টিমেটাম, ব্ল্যাকআউটের শঙ্কা
দুই দফা দাবি এবং মন্ত্রণালয়ের দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীদের ৭২ ঘণ্টা আল্টিমেটামের সময় শেষ হচ্ছে আজ। ইতোমধ্যেই ছুটির আবেদন করেছেন ৪০ হাজারের বেশি কর্মচারী। ফলে দেখা দিয়েছে ব্ল্যাক আউটের শঙ্কা।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলনের সমন্বয়ক প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিতদের চাকরি নিয়মিত করার যে দুই দফা দাবি তারা দিয়েছেন সেটি যুক্তিযুক্ত ও ন্যায্য। দাবি নিয়ে বেশ কয়েকবার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও কোনো সঠিক সমাধান তারা পাননি। গেলো ৮ আগস্টেও পল্লী বিদ্যুৎ, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে একটি আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হলেও তা অফিস অর্ডার আকারে প্রকাশ করা হয়নি। এতে তারা বুঝতে পারছেন, পল্লী বিদ্যুৎ এবং বিদ্যুৎ বিভাগ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
রাজন কুমার দাস বলেন, পল্লী বিদ্যুতের ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ৪০ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী ছুটির আবেদন করেছেন। তারাও চান না এমন কিছু হোক বা গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়ুক। তাদের চাওয়া, বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ফাওজুল করিম খান, পল্লী বিদ্যুৎ ও বিদ্যুৎ বিভাগ মিলে আন্দোলনকারীদের একটি সুষ্ঠু সমাধান দিক।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলনের এ সমন্বয়ক জানান, ইতোমধ্যে তারা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান করছেন। পল্লী বিদ্যুতের চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে অবস্থান করছেন। শিঘ্রই হয়ত কোনো সমাধান আসতে পারে।
প্রসঙ্গত, গ্রামাঞ্চলের ৮০ শতাংশ এলাকার ৩ কোটি ৬০ লাখের বেশি গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, যা বিদ্যুৎ সরবরাহের দিক দিয়ে সর্বোচ্চ। দাবি আদায় না হলে সমিতির কর্মচারীরা পূর্ণ কর্মবিরতিতে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ বিভ্রাটে (ব্ল্যাকআউট) পড়তে পারেন।
আই/এ