জাতীয়

অবিলম্বে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে : বিএফইউজে

জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বর ছবি: সংগৃহীত

ভেবেছিলাম ফ্যাসিবাদ পতনের পর কোনো দাবি-দাওয়ার জন্য রাজপথে নামতে হবে না। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে। সাগর-রুনির হত্যার বিচার চাইতে হবে কেন। এটা নিয়ে এত তালবাহানা কেন। কেন আপনারা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেন না। কেন কোনো পুলিশ তদন্ত করেন নাই, তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। বললেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী।

শনিবার (৩১ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী সব কালাকানুন বাতিল, সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিকদের হত্যার বিচার ও সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) বিএনপিপন্থি অংশ এ সমাবেশের আয়োজন করে।

বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, ষড়যন্ত্র করে গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে পারবেন না। ষড়যন্ত্র করে মানবিক মূল্যবোধকে নষ্ট করতে পারবেন না। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে সেই বাংলাদেশকে কলুষিত করার ক্ষমতা আপনার (সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নেই।

বিএফইউজের এই সভাপতি বলেন, আমাদের আন্দোলনকে আরো তীব্র থেকে তীব্রতর করতে হবে। সাংবাদিকদের সমস্ত প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকদের নিয়োগ দিতে হবে। সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠানে কোনো ভাড়া করা নিয়োগ আমরা মানব না।

রুহুল আমিন গাজী বলেন, কিছু সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করছে। আমরা এটা ঘৃণা ও প্রত্যাখ্যান করি। হত্যা মামলা দায়ের করতে হলে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে। শুধু শুধু একজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা আমরা ঠিক মনে করছি না। যার যেটুকু অপরাধ তার শুধু সেটুকু শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু হত্যা মামলার মতো মামলা দায়ের করতে হলে আপনাকে যথাযথ প্রমাণ উপস্থাপন করে মামলা করতে হবে।

সমাবেশে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান প্রতিবেদক মোরসালিন নোমানি বলেন, আমি তিনটি বিষয়ে কথা বলতে চাই। প্রথমটি হচ্ছে সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের ১২ বছরের বেশি সময় পার হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সময় বলা হয়েছিল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের ধরা হবে। কিন্তু এত দিনেও তা ধরা হয়নি। আমার দাবি হচ্ছে, সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের সময় তৎকালীন যে পুলিশ প্রধান ছিল তাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। দ্বিতীয়টি হচ্ছে স্বৈরাচার সরকারের পতনের সময় যে চারজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। আর তৃতীয়টি হচ্ছে, ১৬ বছর যখন ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় যে সব সাংবাদিক তেল দেওয়ার কাজ করেছিল তাদের চিহ্নিত করতে হবে। 

জেডএস/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন