শেষ দেখে ছাড়বেন কঙ্গনা!
৬ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা কঙ্গনা রানাউত পরিচালিত প্রথম ছবি ‘ইমার্জেন্সি’র। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাও করেছেন তিনি। কিন্তু মুক্তির পাঁচ দিন আগেও ছবিটির মুক্তি নিয়ে যেন শঙ্কা কাটছে না।
জানা গেছে, মুক্তির সার্টিফিকেট এখনও দেয়নি সেন্সর বোর্ড। শুধু তাই নয়, ধর্ষণ ও প্রাণনাশের হুমকির মুখেও পড়েছেন কঙ্গনা।
সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে কঙ্গনা প্রকাশ করেছেন যে, তার পরিচালিত এই ছবি এখনও সেন্সর বোর্ডের তরফে সবুজ সংকেত পায়নি। তাই সেন্সর সার্টিফিকেটের অপেক্ষায় এখন এই অভিনেত্রী-পরিচালক।
ছবির সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কঙ্গনা ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘অনেক ধরনের গুজব ছড়িয়েছে যে আমার ফিল্ম ‘ইমার্জেন্সি’ সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়ে গেছে। এটি সত্য নয়। আমাদের ছবিটি সিবিএফসির তরফে প্রাথমিকভাবে ছাড়পত্র পেলেও সেন্সর সার্টিফিকেট আটকে দেওয়া হয়েছে, কারণ সেন্সর বোর্ডের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, সেই কারণে বিলম্ব হচ্ছে’।
কঙ্গনা আরও বলেন, সেন্সর বোর্ডের উপরও অনেকরকম চাপ রয়েছে যাতে ইতিহাসের সত্য আখ্যান পর্দায় তুলে না ধরা হয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে যাতে মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর হত্যা, ভিন্দ্রাওয়ালে হত্যাকাণ্ড এবং পাঞ্জাব দাঙ্গা ছবিতে চিত্রিত না করা হয়। ফলে প্রশ্ন জাগে, ছবিতে আসলে কী দেখাতে পারব? এটা আমার জন্য অবিশ্বাস্য সময় এবং এই দেশের অবস্থার জন্য আমি খুবই দুঃখিত।’
তবে কঙ্গনার হুঁশিয়ারি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শংসাপত্র না পাওয়া গেলে তিনি লড়াই করবেন। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের কাছে কঙ্গনা বলেন, আশা করছি আমার ছবিকে সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র দিয়ে দেবে। যে দিন আমাদের শংসাপত্র পাওয়ার কথা, সেই দিনই বহু লোকে নানা রকমের নাটক করলেন।
অভিনেত্রী-সাংসদ আরও বলেন, সেন্সর বোর্ডেরও নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। আমি আশা করছি, এই ছবিটা মুক্তি পাবে। আমি এই ছবির মুক্তি নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কিন্তু আমার পায়ের তলা থেকে মাটি সরিয়ে দেয়া হয়েছে। আমাকে ওরা কিছুতেই ছাড়পত্র দিচ্ছে না।
নিজের ছবির মুক্তির জন্য লড়াই করবেন ও শেষ দেখে ছাড়বেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তার কথায়, এবার সত্যিই দেরি হচ্ছে। ছবির শংসাপত্র যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আসে। না হলে, আমি এটার জন্য লড়াই করবই। ছবিমুক্তির জন্য আমি আদালত পর্যন্ত যেতে পারি। আমি আমার অধিকার রক্ষা করবই। ভয় দেখিয়ে ইতিহাস কেউ বদলাতে পারবে না।
১৯৭৫ সালের জুন মাসে দেশে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সেসময় একটানা ২১ মাস দেশে জরুরি অবস্থা জারি ছিল। বলা হয়, গদি বাঁচাতে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেন নেহেরু কন্যা। সেই বিতর্কিত অধ্যায়কেই রুপালি পর্দায় তুলে ধরতে চায় বলিউডের ‘ঠোটকাটা’ এই অভিনেত্রী। তবে আদতে আসন্ন ছবিটির ভবিষ্যত কি তা নিয়ে সংশয়ে অভিনেত্রী।
আসন্ন ছবিটিতে কঙ্গনা ও অনুপম খের ছাড়াও আরো দেখা মিলবে মহিমা চৌধুরী, মিলিন্দ সোমান, শ্রেয়স তালপেড়ে এবং প্রয়াত অভিনেতা সতীশ কৌশককে।
এসআই/