নির্বাচনে প্রার্থীদের বয়সসীমা ১৮ করতে আইনি নোটিশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনে ১৮ বছর বয়স্ক প্রত্যেক সাবালক ভোটারকে বাংলাদেশের যে কোন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিতে আইনি নোটিশ করা হয়েছে। একটি মানবাধিকার সংগঠন জাতীয় সংসদের স্পিকার, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ নোটিশটি পাঠয়েছেন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) মানবাধিকার সংগঠন ল এন্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার ইমেইল যোগে নোটিশ দুটি পাঠান।
এতে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোন নাগরিকের বয়স ২৫ বছর না হলে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। পাশাপাশি সংবিধান অনুযায়ী স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ২৫ বছর না হলে নির্বাচন করতে পারেন না।
আইনের বিদ্যমান বিধানের ফলে দেশের কোটি কোটি তরুণ অন্যান্য সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র বয়সের বাধার কারণে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই ধরনের বয়সভিত্তিক অযোগ্যতা অনুমান করা সংবিধানের মৌলিক ধারণা এবং মর্মার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক তথা কোটি কোটি তরুণদের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন।
নোটিশে সংবিধানের ২৭, ৩৮ এবং ৩৯ নং অনুচ্ছেদ উল্ল্যেখ করে বলা হয়, প্রত্যেক নাগরিকের চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করেছে। কাজেই যেকোন নির্বাচনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের অংশগ্রহণ, ভোটাধিকার প্রয়োগ তথা নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি হওয়ার প্রত্যাশায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার একটি সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। অথচ সংবিধানের ৬৬ (১) অনুচ্ছেদে এবং অন্যান্য সকল বিদ্যমান নির্বাচনী আইনে ২৫ বছরের বয়সের মাপকাঠি আরোপ করে কোটি কোটি তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক ভোটারদের সাংবিধানিক ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে।
নোটিশে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আই/এ