ষষ্ঠ-নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার পদ্ধতি জানাল এনসিটিবি
চলতি বছরের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে অনুষ্ঠিত হবে সেই সঙ্গে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করা হবে। তবে আরও গ্রহণযোগ্য মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রবর্তন করতে অভিভাবক ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলন সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়া হবে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এনসিটিবি জানিয়েছে, চলতি বছর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা প্রতি বিষয়ে ১০০ নম্বরে নেয়া হবে। প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষায় থাকবে সংক্ষিপ্ত, বর্ণনামূলক প্রশ্ন, সঠিক উত্তর ও শূন্যস্থান পূরণ। সামষ্টিক মূল্যায়নে ৭০ শতাংশ আর শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৩০ শতাংশে।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা। আবার পরীক্ষার ফল প্রকাশেও থাকছে না আলোচিত-সমালোচিত ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ ও বৃত্ত। এর পরিবর্তে আবারও চালু করা হবে নম্বরভিত্তিক গ্রেডিং পদ্ধতি।’
তিনি বলেন, ‘একটা অংশ থাকবে যে, সংক্ষিপ্ত এমসিকিউ বাকি সিকিউ ধরনের প্রশ্ন এবং যে উদ্দীপক থাকে সেটা ছাড়াও কিছু প্রশ্ন রাখা হবে। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-শূন্যস্থান পূরণ, সত্য-মিথ্যা এগুলোও থাকবে। অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থীকে বিভিন্নদিক থেকে প্রশ্ন রেখে মূল্যায়ন করা হবে।’
এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যে মানদণ্ডগুলো আছে, তার ওপর ভিত্তি করেই আমরা মেধা ঠিক করব। সেটা প্রথমে নম্বরের ভিত্তিতে করে গ্রেডে পরিবর্তন করা হবে। চলতি বছর সাময়িক সময়ের জন্য পুরনো সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির প্রচলনকে ইতিবাচক আখ্যা দিয়ে দ্রুত সবার কাছে গ্রহণযোগ্য পরীক্ষা পদ্ধতি প্রবর্তনের দাবি অভিভাবক ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনকারীদের।’
সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল সাহা বলেন, ‘আমরা জানি যে, সৃজনশীল মূল্যায়ন পদ্ধতির মধ্যে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু তারপরও আমাদের সেখানে আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন পদ্ধতিতে যেতে হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শুরু হয়েছে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ। তারই ধারাবাহিকতায় সংস্কার হচ্ছে শিক্ষা খাতও। অন্তর্বর্তী সরকার বাতিল করেছে নতুন কারিকুলামের সমালোচিত মূল্যায়ন পদ্ধতি। তবে সৃজনশীল প্রশ্নপত্রেই চলতি বছরের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা।
কেএস//