আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, তেহরান ক্যাম্পাসে আটকা বহু শিক্ষার্থী

ইরানে পুলিশের সঙ্গে শরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। তেহরানের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার পার্কিংয়ের ভেতর শিক্ষার্থীরা আটকা পড়েছেন বলে জানায় রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যম।

সোমবার (৩ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে দেখা গেছে পুলিশ গুলি চালাচ্ছে এবং ছাত্ররা দৌড়ে পালাচ্ছে। সম্প্রতি পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনি নামে ২২ বছরের এক তরুণীর মৃত্যুর পর থেকেই ইরানজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। ওই তরুণী পোশাক সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ভঙ্গ করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।

পুলিশ হেফাজতে থাকার পর হাসপাতালে আমিনির মৃত্যু ঘটে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে তাকে মারধরের অভিযোগ করা হয়। তবে এই অভিযোগ কর্তৃপক্ষ বারবার অস্বীকার করেছে। পুলিশ বলছে, তার ওপর কোন নির্যাতন করা হয়নি। তার হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয়।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তারা যদি এখনই এর বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ান তাহলে একদিন তাদেরও একই ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে।

এদিকে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, শরিফ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছে। দূর থেকে বন্দুকের গুলির শব্দও শোনা যাচ্ছে।

অন্য একটি ভিডিওতে দেখা গেছে একটি গাড়িতে যারা বসে ভিডিও করছিল তাদের গুলি করতে মোটরবাইকে করে নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরা আসছে। ইরান ইন্টারন্যাশনাল সাইটসের খবরে বলা হচ্ছে, ছাত্রাবাসগুলোতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে এবং গুলি করেছে। অন্য এক খবরে বলা হচ্ছে, বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে।

উম্মে রুমান 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন