বাংলাদেশ

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের প্রধান শিক্ষক আজিজ মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

গেলো বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয়রা শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুকান্ত সাহার কাছে লিখিতভাবে এ অভিযোগ  দাখিল করেন।

এতে বলা হয়, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে পারফর্মেন্স বেজড্ গ্রান্টস্ ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিশন (পিবিজিএসআই)-এর আওতায় পাঁচটি খাতে ব্যয় করার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা পায় বীরগাঁও ইমদাদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়। যে টাকা ইএফটির মাধ্যমে গত বছরের ১৮ জুন তারিখে প্রতিষ্ঠানের নামাঙ্কিত সোনালী ব্যাংকের একাউন্টে জমা হয়। প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষকদের মধ্যে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে বাকী চার লক্ষ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। যদিও তিনি বিভিন্ন খাতে এই টাকা বণ্টন করেছেন বলে দাবি করেছেন কিন্তু এলাকার সচেতন মহল খরচের খাত, তার সঠিক প্রমাণাদি দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি।

এছাড়াও স্কুলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সকল প্রকার ফি-তে বেশি টাকা আদায়, স্কুলের টাকা ব্যাংকের একাউন্টে জমা না রেখে নিজের পকেটে রেখে সুদের ব্যবসা করা, স্কুলে যথাযত দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করায় এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়ের অভিযোগসহ ও চাকুরিতে যোগদানের পর থেকে চলতি সময় পর্যন্ত আজিজ মিয়া কর্তৃক প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাত হয়েছে বলে অভিযোগ পত্রে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। 

পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুল বাসির বলেন, ২০১৭ সালে কেরানী পদ থেকে প্রধান শিক্ষক পদে উন্নীত হন আবদুল আজিজ। তার নিয়োগ নিয়েও বিতর্ক আছে। 

অভিযোগের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আজিজ মিয়া বলেন, যারা অভিযোগ করেছেন তারা আমার ওপর ও সাবেক সভাপতির ওপর ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এই কাজটি করছেন। মূলত আমার উপর আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

এ বিষয়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুকান্ত সাহা বলেন, বীরগাঁও ইমদাদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। বিষয়টি অতীব গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তদন্ত চলমান। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এম/এইচ

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন