বেঁধে দেয়া দামে মিলছে না ডিম ও মুরগি
সরকারিভাবে দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পরেও সে দামে মিলছে না ডিম ও মুরগি। বরং বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া দুই সপ্তাহ আগে আলু ও পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক কমানো হলেও তার প্রভাব নেই বাজারে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দামের এ তথ্য জানতে পারে গণমাধ্যম।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা দরে। যা সরকারের বেঁধে দেওয়া দরের চেয়ে ২২ টাকা বেশি। এছাড়া দেশি হাঁস-মুরগির ডিমের ডজন খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ২০৫ থেকে ২১৫ টাকা দরে।
দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার আমদানির অনুমতিও দিয়েছে। তবে আমদানির ডিম বাজারে দেখা যাচ্ছে না বলে দাবি করেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর রামপুরা বাজারে মনির হোসেন নামের এক ক্রেতা জানান, আগেও বাজারে পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া হতো, যা কার্যকর হতো না। তখন রাজনৈতিক সরকার ছিল, নানা কারণ ছিল। কিন্তু এখন ভেবেছিলেন কিছুটা পরিবর্তন হবে। নতুন সরকার কিছু পদক্ষেপ নিলেও এর সুফল ক্রেতারা পাচ্ছে না।
ডিমের মতো একই অবস্থা ব্রয়লার ও সোনালি জাতের মুরগির ক্ষেত্রেও। বাজারে যখন প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ১৭০ টাকা এবং সোনালি জাতের মুরগি ২৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছিল, তখন সরকার দাম বেঁধে দেয় প্রতি কেজি যথাক্রমে ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা ও ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা। এরপর কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে এসব মুরগির দাম। এখন বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, সোনালি জাতের মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়।
এদিকে,দাম বাড়ার ব্যাপারে খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে একপক্ষ দোষ চাপাচ্ছেন আরেক পক্ষের ওপর। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দর নির্ধারণের আগে সরকার কোনো পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেনি। উৎপাদন না বাড়িয়ে দর নির্ধারণ করলে তা বাস্তবায়ন হবে না।
আর খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে, যে কারণে বেঁধে দেওয়া দামের মধ্যে তারা বিক্রি করতে পারছেন না।
এছাড়া দাম বেড়ে গেছে মাছ, মাংস ও শাক-সবজিসহ প্রায় প্রতিটি পণ্যের। এতে বিপাকে ভোক্তারা।
আই/এ