ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের বিরোধিতা করলেন মির্জা ফখরুল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের যে সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ নিয়েছে, তার বিরোধিতা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতি সুস্থ না হলে জাতীয় রাজনীতি সুস্থ হবে না।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবিলা করতে হয়। ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের একেবারে বিরোধিতা করি। হলে সিট দখল কালচার বন্ধ করা উচিত।
ফ্যাসিবাদী সরকারের মূল দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারা দায়িত্বেই থেকে গেছেন জানিয়ে ফখরুল বলেন, পুরোপুরি ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার পতনের পর বর্তমান সরকারের যে ল্যাকিং তা হলো সরকারে রাজনৈতিক মুখ নেই। নিঃসন্দেহে কিছু পলিটিক্যাল গ্যাপ তৈরি হতে পারে। এরমধ্যে ফ্যাসিবাদী সরকারের মূল দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারাও দায়িত্বেই থেকে গেছেন।
আনসারদের ঘটনা বিচ্ছিন্ন কিছু না পরিকল্পিত ছিলো বলে মনে করেন বিএনপির শীর্ষ এই নেতা। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনাগুলো ঘটছে সেগুলো বিচ্ছিন্নভাবে দেখতে চান না তিনি। উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শেখ হাসিনা পাশের দেশে বসে যে কথাগুলো বলছেন তা দেশে একটা অস্থিরতা তৈরি করছে।
এসময় বর্তমান সরকারকে সহযোগিতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যতটুকু কাজ হচ্ছে তা ঠিক হচ্ছে। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করি। মূল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের বসতে হবে। কথা বলতে হবে। মানুষ প্রতিষ্ঠানগুলো কেমন দেখতে চায় তা কথা বলে জানতে হবে। রাজনীতিবিদদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
ফখরুল কথা বলেন নির্বাচন নিয়েও। বলেন, যৌক্তিক সময় বলতে যত দেরি হবে ততই সমাজ ও দেশের ক্ষতি হবে। রাজনৈতিক সরকারের কোন বিকল্প নেই। গণহত্যার সহকারীদের রেখে কোন পরিবর্তন টেকসই হবে না। ঘাড়ে ধাক্কা না দিলে দেশে কোনো পরিবর্তন হয় না। কারণ দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হয়নি।
বর্তমান সংবিধানের অধীনে শপথ না নেয়ার পক্ষেও মত দেন তিনি। বলেন, বিপ্লবী সরকার হলেও উচিত ছিল এই সংবিধানের অধীনে শপথ না নেয়া। যাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারা অত্যন্ত জ্ঞানী। আশাকরি তারা ভালো করবে।
এসি//