৪৩ দিনের মাথায় ডাক্তাররা কাজে, ছন্দে ফিরলো আরজি কর
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রায় দেড় মাস টানা কর্মবিরতির পর কাজে ফিরলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কাজে ফেরেন তারা। এর ফলে আবারও ছন্দে ফিরল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।
ভারতের টাইমস অফ ইন্ডিয়া, সংবাদ প্রতিদিনসহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিশ্রুতি মতো জুনিয়র ডাক্তাররা আপাতত জরুরি বিভাগে কাজে ফিরেছেন। তবে এখনও আউটডোরে রোগী দেখছেন সিনিয়ররাই। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার কয়েকটি শর্ত মানলে তবে আউটডোরে ফের কাজে ফিরবেন বলেই জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
গত ৯ অগাস্ট, আরজি করে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। আর তারপর থেকে বিচার চেয়ে এবং কর্মস্থলে নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
মোট পাঁচ দফা দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে যান তারা। সরকার পক্ষের সঙ্গে মোট দুই দফা বৈঠক হয়েছে তাদের। একবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে। এরপর নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ওই বৈঠকগুলির পর, হাসপাতালে নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামোগত দিকগুলিকে মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে এই বিষয়ে দশ দফা নির্দেশিকা সহ একটি চিঠি পাঠান মনোজ পন্থ। আর তারপরেই স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ডাক দেওয়া টানা ১০ দিনের অবস্থানে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শুক্রবার, দুপুরে শেষ হয় তাদের অবস্থান।
আরজি করে ফিরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, শনিবার থেকে জরুরি পরিষেবায় যোগ দেবেন তারা। তাদের কথায়, "আন্দোলনের সঙ্গে জুড়েছিলেন এমন প্রচুর মানুষ, যারা এখন বন্যাবিধ্বস্ত। আমরা তাদের জন্য ‘অভয়া ত্রাণশিবির’ খুলেছি। সেখানে চিকিৎসা পাচ্ছেন তারা।
আন্দোলনকারীরা আশ্বস্ত করেছিলেন, আরজি করের জুনিয়র ডাক্তাররা রোগীদের ফিরিয়ে দেবেন না। যথাযথ চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করবেন তারা। জুনিয়র ডাক্তাররা আরও বলেন, ‘আমাদের একটি দল ইতিমধ্যেই পাঁশকুড়ায় পৌঁছে গেছে। সেখানকার বন্যাবিধ্বস্ত মানুষদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছি আমরা।’
এমআর//