আন্তর্জাতিক

ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা

ছবি: রয়টার্স

উত্তর ইসরাইলের গভীরে রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। অঞ্চলটির হাইফা শহরের পূর্ব দিকের রামাত ডেভিড বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে হিজবুল্লা। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতের এসব হামলা চালায় লেবাননের  সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।  খবর রয়টার্স।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোরে হিজবুল্লাহর রকেট হামলার পর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সাইরেন বেজে ওঠে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লেবানন থেকে মোট ১০টি রকেট ছোঁড়া হয়েছিল এবং এর বেশিরভাগই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে এই হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি

এটি হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে সবচেয়ে গভীরতম আঘাত। গেলো বছর অক্টোবর থেকে সীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে এটাই হিজবুল্লাহর সবচেয়ে দূরবর্তী আক্রমণ

এই রকেট হামলার কারণ হিসেবে সাম্প্রতিক ইসরাইলি আক্রমণকে উল্লেখ করা হয়েছে। গেলো মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ও বুধবার (১ সেপ্টেম্বর)  লেবাননের বিভিন্ন স্থানে হিজবুল্লাহর ওয়্যারলেস যোগাযোগ ডিভাইসগুলো বিস্ফোরিত হয়। যার ফলে হাজার হাজার মানুষ আহত হয় এবং অনেক মানুষ নিহত হয়েছে। লেবানন এই বিস্ফোরণের জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে।

এদিকে, শনিবার ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে শতাধিক বিমান হামলা চালায়। যার উদ্দেশ্য ছিল হিজবুল্লাহর আক্রমণ প্রতিরোধ করা। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনী উত্তর ইসরাইলের বড় জমায়েতগুলোতে বিধিনিষেধ আরোপ করে। যার মধ্যে হাইফা শহরও রয়েছে, যা ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর

বৈরুত থেকে আল জাজিরার বরাত দিয়ে আলী হাসেম জানিয়েছেন, ২০০৬ সালের যুদ্ধের পর এই প্রথমবারের মতো হিজবুল্লাহর মিসাইল ২০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করেছে। এই আক্রমণে হিজবুল্লাহ ৪৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। যার মধ্যে রামাত ডেভিড বিমানঘাঁটিও রয়েছে। এই আক্রমণের মাধ্যমে হিজবুল্লাহর রকেট আঘাতের পরিসর উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে

হিজবুল্লাহ তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এই আক্রমণে ফাদি ১ এবং ফাদি ২ নামে নতুন রকেট ব্যবহার করেছে। এর আগে কয়েক মাস ধরে তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের সোভিয়েত তৈরি ক্যাটিউশা রকেট ব্যবহার করছিল

এছাড়া, শুক্রবার ( ২০ সেপ্টেম্বর)  ইসরাইল বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়, যেখানে অন্তত ৩৮ জন নিহত এবং আরও অনেক আহত হয়। নিহতদের মধ্যে হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ইব্রাহিম আকিলও ছিলেন

হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, যতদিন না গাজায় ইসরাইলের অভিযান বন্ধ হয়, ততদিন তারা ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালিয়ে যাবে

জেডএস/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন