১১ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। বিক্ষোভের কারণে ১১ ঘণ্টা পর সড়ক থেকে সরে গেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। কয়েক কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন ওই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া এলাকার টি অ্যান্ড জেড গ্রুপের অ্যাপারেলস প্লাস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতেও মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন শ্রমিকরা। এতে সারা রাত যানজটে স্থবির থাকে মহাসড়ক। রাতভর যানজটে আটকে থাকায় অনেকের ঢাকায় পৌঁছাতে এবং গাজীপুর আসতে ভোর হয়ে যায়।
শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শ্রমিকদের তিন মাসের বেতন না পরিশোধ করেই কারখানা বন্ধ করে দেয় টি অ্যান্ড জেড গ্রুপের অ্যাপারেলস প্লাস লিমিটেড কারখানা কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় সেপ্টম্বরের শুরুতে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। কিন্তু মালিকপক্ষ বেতন দিতে অপারগতা প্রকাশ করে ৩০ সেপ্টেম্বর পরিশোধের কথা জানায়। এরপর শ্রমিকরা আর আন্দোলন করেননি। তবে পূর্ব নির্ধারিত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বেতন চাইলে কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করেনি। পরে রাতেই শ্রমিকরা বিক্ষোভ এবং মহাসড়ক অবরোধ করে।
অন্যদিকে মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকার এম এম নীটওয়্যার লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা টিফিন বিল, নাইট বিল ও হাজিরা বোনাস বাড়ানোর দাবিতে সোমবার দুপুরে বিক্ষোভ করেন। কোনো সমাধান না হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এছাড়া আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে বাইপাইল থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা মোড় পর্যন্ত অন্তত ১০ কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
গাজীপুর শিল্পপুলিশের পুলিশের এসপি সারোয়ার আলম গণমাধ্যমে বলেন, মহাসড়ক অবরোধকারী পোশাককারখানার শ্রমিকদের দাবির বিষয়টি নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। তারা বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছেন।
বাসন থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শ্রমিকদের দাবির বিষয়টি নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।
এএম/