বাংলাদেশ

সরকারের কণ্ঠস্বর আরও জোরালো হওয়া দরকার : আনু মুহাম্মদ

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে কিছু দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড এবং মন্দির, মাজারে হামলার বিষয়ে সরকারের কণ্ঠস্বর আরও জোরালো হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন  অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডলে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভার শুরুতে অন্তর্বর্তী সরকারের আশু করণীয় হিসেবে ১৩ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন মানবাধিকার কর্মী মাহা মির্জা। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ, নিহত ও আহতদের তালিকা প্রকাশ এবং পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া; হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাবেক মন্ত্রী, এমপি, আমলা, পুলিশ, দলীয় সন্ত্রাসীসহ সবার বিচার নিশ্চিত করা; গণতান্ত্রিক সংবিধানের রূপরেখা প্রকাশ এবং জনমতের ভিত্তিতে তা চূড়ান্ত করা; অবিলম্বে দলগত সহিংসতা ও হত্যা বন্ধ করা; মন্দির, মাজার, মসজিদ, শিল্পকর্মসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে হামলা বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া; সবার জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া এবং পাহাড় ও সমতলের মানুষদের অধিকার নিশ্চিত করা।

এ দফা উল্ল্যেখ করে আনু মুহাম্মদ বলেন, এসব দাবি বাস্তবায়ন কঠিন কিছু নয়। তাঁরা এটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দেবেন। সরকারের ছয় মাস কিংবা প্রয়োজন হলে আরও সময় নিয়ে এসব দাবি পর্যালোচনা করা হবে।

এসময় সরকারের সংস্কার কমিশনগুলো গঠনে সময়ক্ষেপণের এবং দুই মাসেও জুলাই আন্দোলনে শহীদের তালিকা প্রণয়ন ও আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে না পারায় সমালোচনাও করেন তিনি।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবী সরকার নয়। তাদের ম্যান্ডেটের সীমাবদ্ধতা আছে। তাদের মূল কাজ হচ্ছে অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে একটা স্বভাবিক সরকারে ফিরে যাওয়ার পথ করে দেওয়া। এর আগে সংবিধান সংশোধনে একটা সম্মেলন করতে হবে। মানুষের মতামতের ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব তৈরি করতে হবে।

জুলাই আন্দোলনের পরও নারীরা আক্রমণের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, নারীদের নানা ধরনের ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে। সরকার ষড়যন্ত্রতত্ত্ব বা অজুহাত দিয়ে দায়িত্ব এড়াতে পারবে না। 

প্রসঙ্গত,  গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির উদ্যেগে আয়োজিত অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাস: পর্যালোচনা, প্রস্তাব,মতবিনিময়সভায় বক্তারা সাম্প্রতিক পাহাড়ে সংঘর্ষ ও পোশাক কারখানার পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন।

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন