বাংলাদেশ

নিয়োগ দুর্নীতিতে শিল্পকলার সাবেক ডিজিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী (লাকী) ও পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় ফেল করা প্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অবৈধভাবে ১০ পদে নিয়োগ প্রদানে সরকারের সাড়ে ৮ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধন হয়েছে। ওই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক ডিজিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (৬ অক্টোবর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক সুমিত্রা সেন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির জনংসযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী (লাকী), পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, কালচারাল অফিসার আল মামুন, মো. হামিদুর রহমান, বেগম সুদীপ্তা চক্রবর্তী, হাসান মাহমুদ, বেগম রুনা লায়লা মাহমুদ, সহকারী পরিচালক (বাজেট ও প্ল্যানিং) বেগম সামিরা আহমেদ, স্টেজ ম্যানেজার বেগম রহিমা খাতুন, গাইড লেকচারার মো. মাহাবুবুর রহমান, ইনস্ট্রাকটর (সংগীত ও যন্ত্র) বেগম মীন আরা পারভীন, ইনস্ট্রাকটর (নৃত্য) বেগম প্রিয়াংকা সাহা, যন্ত্রশিল্পী (গ্রেড-৩) নারায়ণ দেব লিটন, যন্ত্রশিল্পী (গ্রেড-৩) মোহাম্মদ জিয়াউল আবেদীন, নৃত্যশিল্পী (গ্রেড-৩) বেগম লায়লা ইয়াসমিন, বেগম মিফতাহল বিনতে মাসুক ও বেগম সুমাইতাহ তাবাসসুম ধানম, কণ্ঠশিল্পী বেগম রোকসানা আক্তার রূপসা, আবদুল্লাহেল রাফি তালুকদার, মো. সোহানুর রহমান, বেগম আবিদা রহমান সেতু, বেগম মোহনা খাস এবং ক্যামেরাম্যান (জনসংযোগ) মো. রুবেল মিয়া।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার নম্বরপত্রে অসৎ উদ্দেশ্যে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার উদ্দেশ্যে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার নম্বরপত্রে নম্বর বাড়িয়ে অবৈধভাবে ১০টি পদে ২৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করেছেন। পরে লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের উত্তীর্ণ করে বিভিন্ন পদে যোগদান করে তাদের বেতনভাতা বাবদ সরকারি তহবিল থেকে ৮ কোটি ২৮ লাখ ৪৯৫ টাকা উত্তোলন করে সরকারকে আর্থিক ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯, ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন