জাতীয়

চট্রগ্রাম বন্দরকে জঞ্জাল মুক্ত করতে হবে : সাখাওয়াত হোসেন

চট্রগ্রাম বন্দরকে আমাদের জঞ্জাল মুক্ত করতে হবে। আর এটা যাতে কুইক রেসপন্স করতে পারে সেটার জন্য কাজ করতে হবে। বে টার্মিনালে বিনিয়োগ করার জন্য অনেকে বিদেশি বিনিয়োগকারী বসে আছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন শেষে এনসিটি-৩ জেটিতে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, বে টার্মিনালের জায়গাগুলোও দেখে এসেছেনআপাতদৃষ্টিতে বে টার্মিনালে তিনি কোনো সমস্যা দেখছেন না। এখানে সৌদি আরব, নেদারল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ বিনিয়োগ করেছে। বিনিয়োগকে যদি সরকার নিরুৎসাহিত করে তাহলে  এখানে কিন্তু বাইরের কেউ আসবে না।

তিনি বলেন,  সারাদিন তিন পোর্টের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছেস্থলবন্দরগুলো এখান থেকে আরও বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত। জঞ্জাল দূর করতে একটু তো সময় লাগবে। মাত্র দুই মাসের মাথায় ২২ বছরের পড়ে থাকা কাজ দূর করা অনেক কঠিন। যেসব যন্ত্র পড়ে আছে সেগুলোর ব্যবহার ঠিকমতো করা হবে। ২২ বছর ধৈর্য ধরেছেন। এখন ২২ মিনিটে দূর করা সম্ভব না। অন্তত ২২ মাস ধৈর্য ধরেন। পরিবর্তন হয় কি-না দেখেন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ম্যানুয়ালি থেকে যদি অটোমেশন করা যায় কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সময় আরও কমে যাবে। আগে একটি জাহাজ আসলে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগতো পণ্য খালাস করতে। এখন সেটা অনেক উন্নতি হয়েছে। তাই বলে সরকার যে সন্তুষ্ট, তা একদম নয়। অটোমেশন হলে কনটেইনার লোডিং ও আনলোডিংয়ের সময় আরও কমবে। বন্দরের অব্যবস্থাপনার জন্য কেউ একা দায়ী নন।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এখানে ২০ বছর আগের কনটেইনার পড়ে আছে ১২ থেকে ১৪ বছর ধরে গাড়ি পড়ে আছে। এগুলো নিলাম করার কাজ এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড)। তিনি এখনও এনবিআরএরের সঙ্গে কথা বলেননিবন্দরের জায়গা যদি এভাবে ভর্তি হয়ে থাকে তাহলে কার্যক্রম কীভাবে বাড়বে!

 আই/এ

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন