আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সূচনা

নরসিংদীর ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন।

তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক আব্দুল হাসিব চৌধুরী জানান, ২০১৪ সালের বিপর্যয়ের পরও সঞ্চালন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন হয়নি।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের উৎপাদন ও বিতরণের সঙ্গে সঞ্চালন ব্যবস্থার সমন্বয়হীনতার কারণেই মঙ্গলবারের (৪ অক্টোবর) বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহের কোনো একটি লাইন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অন্য লাইন ওভার লোড হয়ে সেটা ট্রিপ করে। এ কারণে পূর্বাঞ্চলের গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বল্পতা দেখা দেয়।

দেশের জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে মঙ্গলবার দুপুর দুইটা পাঁচ মিনিটে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের সব এলাকার বিদ্যুৎ একসঙ্গে চলে যায়। সংস্কার কাজ শেষে রাত ৯টার দিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো একে একে পুরো লোডে ফিরে আসতে সময় লাগে আরও কয়েক ঘণ্টা। তবে কি কারণে এই বিপর্যয় সেটা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

বুধবার (৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব এলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে ছয় সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কন্টোলরুম পরিদর্শন করেন। ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরিদর্শনে পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে পরামর্শক শামছুর জোহা, নির্বাহী প্রকৌশলী আরেফিন সিদ্দিক ও সাইদুল ইসলামসহ তদন্ত কমিটির ছয় সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন।  

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন মনে করছেন, বিদ্যুতের ঘোড়াশাল হাবে কোনো ত্রুটির কারণেই এমনটা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

তদন্ত কমিটির সদস্য বুয়েট অধ্যাপক আব্দুল হাসিব চৌধুরী জানান, ২০১৪ সালের ঘটনার পর বিশেষজ্ঞ কমিটির কিছু সিদ্ধান্ত কার্যকরের কারণে এবার সারাদেশ সংকটে পড়েনি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন