তথ্য-প্রযুক্তি

ইতিহাস তৈরি করলো ইলন মাস্কের রকেট

বিশ্বে প্রথমবারের মতো উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে অবতরণ করেছে কোনো রকেটের সুপার হেভি বুস্টার।আর এই চেস্টায় চারবার ব্যার্থ হওয়ার পর পঞ্চমবার সফল হলো ইলন মাস্কের স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠান

স্থানীয় সময় রোববার (১৩ অক্টোবর) সফলভাবে নিরাপদে অবতরণ করেস্টারশিপ রকেটের সুপার হেভি বুস্টার।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়,স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে টেক্সাসের বোকাচিকা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। উৎক্ষেপনের পর দ্বিতীয় ধাপের ৪০ মিনিট এর মাথায় স্টারশিপ রকেটের ভবিষ্যতে নভোচারী এবং মালামাল বহন করবে সেই অংশ আলাদা হয়ে ভারত মহাসাগরে পড়ে। আর সুপার হেভি বুস্টার ফিরে আসে স্পেসএক্সের উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে

স্পেসএক্স এর প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক জানান, মহাকাশযানটি কেবল সফলভাবে অবতরণই করেনি, ব্যবহৃত বেশ কিছু যন্ত্রাংশও অক্ষতভাবে নিয়ে ফিরেছে। এত বেশী সফলতা তারা প্রত্যাশাও করেননি। এই বুস্টারটিকে পুনরায় রকেট উতক্ষেপনের কাজে দ্রুত ব্যবহার করা যাবে

স্পেসএক্সের এ রকেটটি লম্বায় প্রায় ৪০০ ফুট। এটি বিশ্বে এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট স্টারশিপের দুটি অংশ রয়েছেএকটি সুপার হেভি বুস্টার। এতে ৩৩টি ইঞ্জিন আছেএসব ইঞ্জিনমার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আর্টিমেস রকেটের চেয়ে দুইগুণ বেশী শক্তিশালী। অন্যটি স্টারশিপ মহাকাশযানযেটি সুপার হেভি বুস্টারের ওপর বসানো থাকে। এ রকেটটি ১০০ টনেরও বেশি যন্ত্রপাতি অথবা ১০০ জন নভোচারী বহন করতে পারে।

স্টারশিপ রকেটের বিষয়ে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের বায়ুমন্ডল রসায়ন এবং বায়ু মান বিষয়ের অধ্যাপক ড. এলিয়োস মারাইস বলেন, এ রকেটটি জ্বালানি হিসেবে তরল মিথেন ব্যবহার করছে অন্য রকেটে ব্যবহৃত কার্বন জ্বালানি বায়ুমন্ডলে যে দূষণ করে, স্টারশিপে রকেটে ব্যবহৃত মিথেন তেমন দূষণ করছে, তার কোন প্রমাণ পাননি তিনি।

এর আগে গেলো বছরের এপ্রিল ও নভেম্বর মাসে এবং এ বছরের মার্চ ও জুন মাসে মোট চারবার স্টারশিপ রকেটের পরীক্ষা চালায় স্পেস এক্স।  ইলন মাস্কের মতে, অন্যগ্রহে মানুষের বসতি স্থাপন করতে যাওয়ার উপযোগী করে এ রকেটটি তৈরি করা হয়েছে। এই রকেট বার বার ব্যবহার করা যাবে মানুষকে মঙ্গলগ্রহ ও চাঁদে নিয়ে যেতে পারবে।

আই/এ

 

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন