সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে না ডিম
নিম্নবিত্তের আমিষ হিসেবে পরিচিত ডিম নিয়ে মহাসংকটে রাজধানীবাসী। গেলো দুই দিন আড়ত বন্ধ থাকার পর রাজধানীর তেজগাঁও পাইকারি বাজারে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ডিমের সরবরাহ। তবে সরকার খুচরা দর ১১ টাকা ৮৭ পয়সা বেধে দেয়া হলেও পাইকারিতেই প্রায় দেড় টাকা বেশি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
রাজধানীর তেজগাঁও পাইকারি বাজারে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাত থেকেই আসতে শুরু করে সারিসারি ডিমভর্তি ট্রাক। তবে উৎপাদক থেকে ডিম পাইকারি পর্যায়ে আসতেই বেশ কয়েকবার হাত বদল হচ্ছে। আর এভাবেই প্রতিটি স্তরে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে ডিমের দাম।
উৎপাদক এবং পাইকারি ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে ডিমের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে পাইকারি ১১ টাকা এক পয়সা আর খুচরা মূল্য প্রতি পিস ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করে সরকার। তবে পাইকারি বাজারেই বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা ৫০ পয়সা।
পাইকারদের দাবি, পিস প্রতি প্রায় দেড় টাকা বেশি দরে কেনার কারণে খুচরাতেও দাম পড়ছে বেশি। তবে খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, উৎপাদক পর্যায়ে বড় বড় কোম্পানিগুলোর কারণেই ডিমের বাজারে এই নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে।
ক্রেতারা বলছেন, শুধু দাম বেধে দিলে হবে না; সরকার নির্ধারিত দরে বিক্রি হচ্ছে কি-না সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, ফার্মের মুরগির ডিমের বাজার ঘোলাটে প্রায় দুই মাস ধরে। দামের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই এক মাস আগে বিভিন্ন পর্যায়ে ডিমের দর বেঁধে দেয় সরকার।
এসি//