ডিম-সবজির দাম কমলেও, মাছ-মুরগির বাজারে অস্বস্তি
ভারত থেকে ডিম আমদানি ও শুল্ক প্রত্যাহার করার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ডিমের দামে। একইসঙ্গে সরবরাহ বাড়ায় কমেছে সবজির দাম। তবে বাজারে এখনও উত্তাপ ছড়াচ্ছে মাছ ও মুরগির দাম। পাশপাশি অপরিবর্তিত রয়েছে আলু ও পেঁয়াজের দাম।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানী ও এর আশপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দামের এ তথ্য জানতে পারে গণমাধ্যম।
কারওয়ান বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, সরবরাহ বাড়ায় কয়েকটি সবজির দাম সামান্য কমেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কোনো প্রভাব না পড়লে, সামনে দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই; বরং আরও কমবে।
বিক্রেতারা জানান, বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৮০-১২০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, মুলা ৫০-৬০ টাকা, লতি ৮০ টাকা, কহি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা ও পটোল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ২০-৩০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, টমেটো ১৮০ টাকা, শিম ১৪০-১৬০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।
বাজারে শাকের দামও নিম্নমুখী। লালশাকের আঁটি ২০-২৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ২০ টাকা, ডাঁটাশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫-২০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
এছাড়া গত সপ্তাহে বাড়তির দিকে থাকা কাঁচা মরিচের ঝাঁজও কমতে শুরু করেছে। চলতি সপ্তাহে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়, আর পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০-১৬০ টাকা দরে।
বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে কমেছে ডিমের দাম। বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন লাল ডিম ১৪৪-১৪৫ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকায়। এতে প্রতি পিস ডিমের দাম পড়ছে ১২ টাকা। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৪০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকায়।
কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের ডিম ব্যবসায়ী নোবেল জানান পাইকারি পর্যায়ে দাম কম থাকলে এবং সরবরাহ বাড়লে, খুচরা বাজারেও ডিমের দাম কমবে। সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রির চেষ্টা করছেন তারা।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে মাছ ও মুরগির দাম বেশ চড়া। বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা, লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা, কক মুরগি প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি আগের মতই প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা আর খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে,বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ । প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া, প্রতি কেজি বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।
এদিকে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম প্রায় শেষের দিকে। নতুন পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত বাজার একটু চড়াই থাকবে।
আই/এ