চালের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সুপারিশ
চাল আমদানিতে বর্তমান আমদানি শুল্ককর সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। বন্যায় চাল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় এবং স্থানীয় বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে এ সুপারিশ করে কমিশন।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) চাল আমদানিতে শুল্ককর পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে এ শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়।
এতে বলা হয়, দেশে চালের চাহিদা প্রায় ৩ দশমিক ৭ থেকে ৩ দশমিক ৯ কোটি টন। যার সিংহভাগ দেশেই উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে দেশে বর্তমানে গত এক মাসে সরু, মাঝারি ও মোটা চালের দাম যথাক্রমে শূন্য শতাংশ, ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ ও ১ দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়েছে। এক বছরের ব্যবধানে তিন ধরনের চালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ, ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও ৭ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে গত ১৬ আগস্ট থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বন্যায় মোট দুই দফায় ৮ লাখ ৩৯ হাজার টন চালের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এ অবস্থায় সরকার গত ২০ অক্টোবর চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে এই শুল্ক ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনে। তবে বর্তমানে ট্যারিফ বেশি হওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চাল আমদানিতে আমদানিকারকরা আগ্রহী না হওয়ায় এ সুপারিশ করছে ট্যারিফ কমিশন।
প্রসঙ্গত, চাল আমদানিতে দেশের চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলেও জানায় ট্যারিফ কমিশন।
আই/এ