আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪জন কারাগারে

মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা (ঢাবি) ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এ মামলা দায়ের করা হয়। 

শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মুহাম্মদ আরিফুল হক তপু। এ সময় তিনি তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী তাদের জামিনের আবেদন করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া আগামী ১১ অক্টোবর আসামিদের জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) ঢাবি ও ঢামেকে মারামারির ঘটনায় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন ও আমিনুর রহমান ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৫ নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতনামা ১৪০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে দুটি পৃথক মামলা করেছেন। এ দুই মামলা নম্বর ১৪ ও ১৫ (৭ অক্টোবর)।

এই দুই মামলার আসামিরা হলেন, মামুনুর রশীদ মামুন, তসলিম হোসাইন অভি, এইচ এম রুবেল, পারভেজ মাহমুদ, আকরাম হুসাইন, আসিফ মাহমুদ, জাহিদ আহসান ও সাদ্দাম হোসেন, নাজমুল হাসান, মো. সানাউল্লাহ, আখতার হোসেন, আবু মো. কাওসার, আসাদ বিন রনি, জিহাদ পাটোয়ারি, মো. রাকিব, ইউসুফ হোসাইন ও মো. রাকিব, তারেকুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, মুজাহিদ মিজান, আরিফুর রহমান আরিফ, মো. ওয়ালিউল্লাহ এবং বিল্লাল হোসেন।

জানা গেছে, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার তৃতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভা শুরুর পরপরই ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এরপর আহতরা চিকিৎসার জন্য ঢামেকে গেলে সেখানেও দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার সভাপতি আখতার হোসেনসহ অন্তত ২২ জনকে আটক করে পুলিশ।

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন