দাম কমলেও সবজিতে মিলছে না স্বস্তি
কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তাপ ছড়ানোর পর শীতের আগমনী বার্তায় কিছুটা কমেছে সবজির দাম। তবে এতেও স্বস্তি মিলছে না ক্রেতাদের। দীর্ঘদিন ধরে সব ধরনের মাছই বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাজধানী ও এর আশপাশের বিভিন্ন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দামের এ তথ্য জানতে পারে গণমাধ্যম।
রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ছোট সাইজের ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বাঁধাকপিও প্রতি পিস ৫০ টাকা। এছাড়া লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, করোলা ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে সবচেয়ে বেশি দামি সবজির তালিকায় রয়েছে শিম, গাজর আর টমেটো। গাজর প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, টমেটো ১৬০ টাকা। গোল বেগুন, কাঁকরোলের কেজিও ১০০ টাকার ঘরে।
এছাড়া শীতকালীন সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়শ, পটোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা কেজিতে নেমেছে, যা গত সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ২০ টাকা কম।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা বেসরকারি চাকরিজীবী খাদেমুল ইসলাম বলেন, সবাই বলে সবজির দাম কমেছে কিন্তু বাজারে আসলে দেখা যায় সবগুলোর দামই বাড়তি। তবে দুই তিন সপ্তাহ আগে ১২০ টাকার ঘরে যেসব সবজি ছিল সেগুলো ১০০ টাকায় নেমেছে। কিন্তু এত দামেও কি সবজি কেনা সম্ভব? দাম কমেছে দেখা যায় শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিন্তু বাজারে আসলে চিত্র উল্টো।
সবজির দামের বিষয়ে রাজধানীর শান্তি নগর এলাকার সবজি বিক্রেতা সোহেল আহমেদ বলেন, দুই তিন সপ্তাহ আগে সবজির দাম আরও বাড়তি ছিল। কিছুদিন হলো সেসবের দাম কিছুটা কমেছে। আসলে অনেক সবজির মৌসুম এখন শেষের দিকে, শীত পড়লে নতুন সবজি উঠবে তখন দাম কমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে বাজারে আলুর দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ১২০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পরে ডিমের দাম কিছুটা কমলেও। এখনও সরকার নির্ধারিত দামে ডিম পাচ্ছেন না ক্রেতারা। বর্তমানে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকায়।
স্থিতিশীল আছে মুরগির দাম। বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরেই বাড়তি দামেই আটকে রয়েছে রাজধানীর মাছের বাজার।বাজারে প্রতি কেজি পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, কাতল ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, গলসা কেজি ৬০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া পাবদা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, রুই ৩৬০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ টাকা, রূপচাঁদা ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আই/এ