এক লাখ শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি আসছে
সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগ দিতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী মাসে এ শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের চাহিদার তথ্য চেয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় এক লাখ হতে পারে জানিয়ে এনটিআরসিএ সূত্র বলছে, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির প্রায় ৯৭ হাজার পদের মধ্যে মাত্র সাড়ে ১৯ হাজার পদ পূরণ হয়েছে। আরও ৭৭ হাজার ৫০০ পদ ফাঁকা রয়েছে। এছাড়া চলতি বছর ২০ থেকে ২৫ হাজার পদ অবসরের কারণে শূন্য হয়েছে। আর এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে আগামী তিন মাসের মধ্যে।
জানা গেছে, গেলো ৩০ অক্টোবর এনটিআরসিএ অনলাইনে শিক্ষকদের শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করে। ই-রিকুইজিশনের এ কার্যক্রমে তথ্য দেয়া যাবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। অনলাইনে চাহিদা ফি জমা দেয়া যাবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
এবারই প্রথমবারের মতো আগামী তিন বছরের (৩১ ডিসেম্বর ২০২৭ পর্যন্ত) সম্ভাব্য শূন্য পদের চাহিদা পাঠাতে বলা হয়েছে। এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম (ই-রেজিস্ট্রেশন) শেষ করে এনটিআরসিএ।
এনটিআরসিএর সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক সংবাদমধ্যমকে বলেন, এনটিআরসিএ ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন শেষে শিক্ষকদের শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করেছে। শূন্য পদের চাহিদা পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই শেষে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চাওয়া হবে। অনুমোদন পেলে আগামী তিন মাসের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিচ্ছে এনটিআরসিএ। তবে, প্রথম ১০ বছর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ছিল সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির হাতে। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরকার এনটিআরসিএকে সনদ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষমতাও দেয়। এরপর থেকে পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ।
এসি//