গ্রামের বাড়িতে সমাহিত হলেন অভিনেতা মাসুদ আলী খান
একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান অভিনেতা মাসুদ আলী খান বৃহম্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রয়াত এই অভিনেতাকে মানিকগঞ্জের তার নিজ গ্রামে সমাহিত করা হয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন তার পরিবার।
পরিবার জানান, শুক্রবার (১ নভেম্বর) বাদ জোহর মানিকগঞ্জের খান বানিয়াপাড়া গ্রামে মাসুদ আলী খানের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর সেখানে তাকে সমাহিত করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন মাসুদ আলী খান। শারীরিক অসুস্থতার জন্য অনেকবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চলছিল তার। সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে পরপারে পাড়ি জমান এই বরেণ্য অভিনেতা। বৃহম্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে রাজধানীর গ্রিন রোডের নিজ বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
১৯২৯ সালে ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মাসুদ আলী খান। বাবা আরশাদ আলী খান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। তার মায়ের নাম সিতারা খাতুন। ১৯৫২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন মাসুদ আলী খান। দুই বছর পর জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।
১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পর নূরুল মোমেনের ‘ভাই ভাই সবাই’ নাটকের মাধ্যমে টিভি নাটকে তার অভিষেক হয়। সাদেক খান পরিচালিত ‘নদী ও নারী’ দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন এই শিল্পী।
পাঁচ দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে প্রায় ৫০০ নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। ২০২৩ সালে এ অভিনেতাকে একুশে পদক প্রদান করা হয়।
এসআই/