লেবাননে নিহত নিজামের মরদেহ আনার বিষয়ে যা জানালো সরকার
যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বিমান না থাকায় লেবাননে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত প্রবাসী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রোববার (৩ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার কামরুল ইসলাম ভূইয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রণালয় জানায়, নিহত বাংলাদেশির স্ত্রী লেবাননে আছেন। তার সঙ্গে লেবানন দূতাবাস কথা বলেছে এবং যোগাযোগ রাখছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিমান না থাকার কারণে মরদেহ বাংলাদেশে আনা সম্ভব হবে না বলে তাকে জানানো হয়েছে।
এদিকে বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস এক শোক বার্তায় জানায়, লেবানন প্রবাসী বাংলাদেশি রেমিট্যান্সযোদ্ধা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন (পাসপোর্ট নম্বর ইএফ০৬২০০৪৩) শনিবার বিকেল ৩টা ২৩ মিনিটে বৈরুতের হাজমিয়ে এলাকায় কর্মস্থলে যাওয়ার পথে একটি কফিশপে অবস্থানকালে বিমান হামলায় ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন।
লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
নিজামের বড় বোন সায়েরা বেগম জানান, তাদের পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে নিজাম সবার ছোট। তাদের অভাব-অনটনের সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে ১২ বছর আগে সাত লাখ টাকা দেনা করে লেবাননে গিয়েছিল নিজাম।
তিনি জানান, কিন্তু সেখানে গিয়ে নির্ধারিত কাজ না পাওয়ায় ভালো উপার্জন ছিল না তার। ১২ বছরের প্রবাস জীবনে পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে না পারলেও মায়ের থাকার জন্য একটি টিনের ঘর বানিয়েছিলেন নিজাম। কিন্তু ঘর বানানোর ছয় মাস পরেই মারা যান মা।
প্রসঙ্গগত, নিহত নিজাম উদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা। তিনি লেবানন যুদ্ধে নিহত হওয়া প্রথম বাংলাদেশি।
আই/এ