বেআইনিভাবে কোন প্রকল্প দেয়া হবে না : রেল উপদেষ্টা
আমাদের কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নেই। তাই কাউকে বেআইনিভাবে প্রকল্পও দেওয়া হবে না। সাংবাদিকদের তথ্য দিলে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে রেল ভবনে রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফাওজুল কবির খান বলেন, কর্ণফুলী টানেল নিয়ে এখন নানা ধরনের প্রতিবেদন হচ্ছে। কিন্তু টানেল নিয়ে আর কিছুই করার নেই। কারণ, প্রকল্পটা হয়ে গেছে। সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করে বলেন, আগেই একটা প্রকল্পের ভালো-খারাপ, সুবিধা-অসুবিধা কোনো রাজনৈতিক বিবেচনায় কিছু হচ্ছে কি না, সেই বিষয়গুলো আগেই তুলে ধরবেন, তাহলে সরকারের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।
তিনি বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে। তবে এটাও সত্য, তথ্য গোপন করার একটা বিষয় থাকে। কোনো সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার পরে তথ্য দেওয়া যেতে পারে। সড়ক ও রেলে আর তথ্য পেতে কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না, দুই মন্ত্রণালয়ের সচিব বিষয়গুলো দেখবেন।
রেল উপদেষ্টা বলেন, সবাই তার বাড়ির কাছে রেলস্টেশন চায়। সেটা হয়তো সরকার দিতে পারবে না। তবে রেলের রুট রেশনালাইজেশনের কাজে হাত দিয়েছে। সেই জায়গায় সকলের সহযোগিতা চান তিনি।
এর আগে রেল রুট রেশনালাইজেশনের সভায় জানানো হয়, সারা দেশে চলাচল করা ১১২টি আন্তঃনগর ট্রেনের মধ্যে গত সেপ্টেম্বর মাসে যাত্রী পরিবহন করে সর্বোচ্চ আয় করেছে একতা এক্সপ্রেস ট্রেন। এ ছাড়া, সর্বনিম্ন আয় করেছে করতোয়া এক্সপ্রেস।
এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল জোনের কক্সবাজার-ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন সর্বোচ্চ আয় করেছে ৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আর এই অঞ্চলে সর্বনিম্ন ৪৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আয় করেছে ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে চলাচল করা হাওর এক্সপ্রেস।
এ ছাড়া, পশ্চিমাঞ্চলে সর্বোচ্চ ১১৮ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করে বরেন্দ্রে/তিতুমীর/ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেন। সর্বনিম্ন ৯৮ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করে বনলতা এক্সপ্রেস। এই অঞ্চলের ট্রেনগুলোর যাত্রী নিয়ে চলাচল গড়ে ১১০ শতাংশ।
অন্যদিকে পূ্র্বাঞ্চলে সর্বোচ্চ ১০৯ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করে এগারোসিন্ধু গোধুলী ট্রেন। সর্বনিম্ন ৬৭ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করে বিজয় এক্সপ্রেস। এই অঞ্চলে ট্রেনগুলোর যাত্রী নিয়ে চলাচল গড় ৯৪ শতাংশ।
আই/এ