রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত পুলিশ বাহিনী গঠন সময়ের দাবি : নৌপরিবহন উপদেষ্টা
জুলাই-আগস্টের রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের পরে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত পুলিশ বাহিনী গঠন এখন সময়ের দাবি। যেকোনো উপায়ে পুলিশ বাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য পুলিশের সাথে জনগণের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট হলে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গত ৮ আগস্টের পর পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের সাথে কথা তিনি কথা বলেছেন।এই পুলিশ কমিশন গঠন তাদের সে সময়ের দাবি ছিল, তারা আর রাজনীতিকরণের অংশ হতে চায় না। এক ‘দানবিক পুলিশের’থেকে ‘মানবিক পুলিশ’গঠনের ক্ষেত্রে একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন অপরিহার্য।
তিনি বলেন, পুলিশের নিচের পদে পদোন্নিতসহ সুযোগ সুবিধা কম। কনস্টেবল পদে যোগদান করে আর সেই পদ থেকেই অবসরে যায়। যা কাম্য নয়। একজন বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট যখন আর পদোন্নতির কোন আশা দেখেন না। তখন সে হতাশ হয়, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। নিচের দিকে পুলিশের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে পুলিশের দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস. এম. জহিরুল ইসলামবলেন, একজন কনস্টেবল যদি যোগ্য, মেধাবী এবং বিশ্বস্ত হন, তাহলে তাকে সর্বোচ্চ পদে উন্নীত হওয়ার সুযোগ কেন দেওয়া হবে না? পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে পুনর্বিবেচনা করতে হবে। জনগণের জন্য যা ভালো, তাকে বিএনপি স্বাগত জানায়।
পুলিশের ডিআইজি ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন বলেন, মনোবল ভেঙে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের বিষয়টি সংস্কারের একটি অংশ হিসেবে গুরুত্ব দিতে হবে।
‘জনমুখী পুলিশ সেবা নিশ্চিতকল্পে পুলিশ কমিশন গঠন ও অন্যান্য সংস্কারের প্রস্তাব’শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য প্রদান করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী। এসময়েতিনি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে গবেষণা ও সংলাপ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
সেমিনারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
আই/এ