হাতে-পায়ে ব্যান্ডেজসহ ভয়-আতঙ্কে দিন পার করছেন যুবদল নেতা
সাভারে মো. সাইফুল ইসলাম (৪৯) নামে এক যুবদল নেতার অফিসে হামলা চালিয়ে তাকে মারধর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। তিনি সাভারের গেন্ডা এলাকার বাসিন্দা এবং সাভার পৌর যুবদলের যুব ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সাভারে গেন্ডা এলাকায় আহত ওই যুবদল নেতার বাড়িতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। এর আগে গেলো ৮ নভেম্বর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- মো. মিলন (চাক্কু মিলন) (৩০), সজিব (দাদু) (২৮), সোহাগ (৩৩), আনোয়ার (৩০), আল আমিন (২৮), রাসেল (৩০), প্রিতম ওরফে ইসমাইল (৩৫), সাব্বির (২৪), সুজন (২৮), ওমর (২৪), শিশির (২৪), সাব্বির (২৫), সিফাতসহ (২৪) অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জন। তারা সবাই সাভারের গেন্ডা এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম জানান, গেলো ৮ নভেম্বর রাতে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ শেষ করে তিনি বাড়ি ফেরার পথে দেখেন তার ব্যাক্তিগত অফিসের সামনে অনেক লোকের জটলা। তখন তিনি সেখানে গিয়ে তাদের পরিচয় জানতে চেয়ে জিজ্ঞেস করেন এখানে কেন হট্টগোল করছে। পরে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীকে নানা হুমকি দিয়ে অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার উপর হামলা চালায় এবং তার অফিসে ভাংচুর এবং লুটপাট চালায়। যার বিস্তারিত দৃশ্য সিসিটিভি ফুটেজে ধারণ করা হয়েছে।
আহত এ যুবদল নেতা বলেন, গেলো ১৪ বছর বিএনপি করার কারনে আওয়ামীলীগের মামলা এবং হামলার কারনে বাড়িতে থাকতে পারিনি। দীর্ঘদিন পর হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা ফিরে পেয়েও আজকে রক্তাক্ত হয়ে আমাকে বিছানায় শুয়ে থাকতে হচ্ছে। এখনো প্রতিদিন আমার আতংকে পার করতে হচ্ছে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসি//