এমন একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে চাই যা ভবিষ্যতেও অনুসরণ করা হবে
আমরা এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে পারি যা যুগ যুগ ধরে অনুসরণ করা হবে। এর ফলে রাজনৈতিক সংকট থেকে আমাদের দেশ রক্ষা পাবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সময়টুকু আমি আপনাদের কাছে চেয়ে নিচ্ছি। নির্বাচনী সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপও জনগণ পেয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারে ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে। এটা আর থামবে না। কিন্তু যেতে যেতে অনেকগুলো কাজ সেরে ফেলতে হবে। এই ট্রেন শেষ স্টেশনে কখন পৌঁছাবে সেটা নির্ভর করবে কত তাড়াতাড়ি এর জন্য রেললাইনগুলো বসানো যায়। আর তা হবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের মাধ্যমে।
সংস্কার কমিশন সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন খাতের সংস্কার করার জন্য ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ সংস্কার কমিশনের আপডেট সময় সময় জানানো হচ্ছে। তবে সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের সুযোগ সরকার কতটুকু পাবে তা জানা নেই। তবে তিনি কথা দিচ্ছেন, সুযোগ দিলে প্রয়োজনীয় কিছু অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার কাজ শেষ করেই জনগণের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন আয়োজন করা হবে।
তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে দেশে সংঘটিত প্রত্যেকটি গুম, খুন ও সর্বশেষ জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় জড়িতদের দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আদালতেও বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের প্রধান কৌসুলী করিম খানের সঙ্গে ইতোমধ্যে কথা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনরোষের শিকার হওয়ায় পুলিশের মনোবল অনেক কমে যায়। আমরা পুলিশের মনোবল ফিরিয়ে এনে তাদের আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে অনেক দৃশ্যমান উন্নতিও হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকেও কিছু নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতিতে সহায়তা করেছে।
আই/এ