খেলাধুলা

সতীর্থের কাঁধে চড়ে সম্মানের বিদায় পেলেন ইমরুল

ছবি: সংগৃহীত

ইমরুল কায়েসের শেষটা ভালো হলো না। ক্যারিয়ারের শেষ প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন ইমরুল। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তার দল খুলনা ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ৯ উইকেটে পরাজিত হয়েছে। তবে সাদা পোশাকে ইমরুলের বিদায়টা স্মরণীয় হয়ে থাকবে তার নিজের ক্যারিয়ারের জন্য। 

ইমরুলের ব্যাটে দুই ইনিংস মিলিয়ে এসেছে কেবল ১৭ টি রান। প্রথম ইনিংসে ১৬ রানের পর, দ্বিতীয় ইনিংসে আসে ১ রান।

লাল বলের ক্রিকেটে নিজের শেষ ম্যাচ খেললেন ইমরুল। আজ দলের হার যখন একেবারে নিশ্চিত হয়ে গেছে, তখন খুলনার পক্ষে বল হাতে তুলে নেন তিনি। তার বোলিংয়েই জয়সূচক রান নিয়েছে ঢাকা।

বাংলাদেশের জার্সিতে ৩৯ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন ইমরুল। বিদায়ী ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার ফিটনেস এখন যে পর্যায়ে আছে, তাতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্য নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারব এবং আরও কয়েক বছর খেলতে পারব। চার দিনের ম্যাচ খেলার জন্য যে পরিমাণ শক্তি ও দৃঢ় মনোবল থাকতে হয়, তা এখন আর নেই। আমার মনে হয়েছে, আমি যদি নিজেকে তরুণদের সঙ্গে তুলনা করি এবং ওদের মতো ছন্দে (গতিশীল) খেলতে না পারি, তাহলে নিজেকে ছোট মনে হয় এবং লজ্জা লাগে। কিন্তু সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে একদিনেই খেলা শেষ হয়ে যায়। এখানে ফুল এনার্জি দেয়া সম্ভব।’

ক্রিকেটারদের অবসর ও বিদায়কে স্মরণীয় রাখার মুহূর্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটে খুব বেশি দেখা যায় না। এমনকি যে ক্রিকেটাররা বিভিন্ন অর্জনে দেশের ক্রিকেটে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছেন, তাদের ক্ষেত্রেও স্মরণীয় বিদায়ের আয়োজন করা বিভিন্ন কারণেই জটিল হয়ে ওঠে।

সেদিক দিয়ে ইমরুলের বিদায়কে অনেকখানি স্মরণীয় বলা যায়। আজ ম্যাচ শেষে যখন মাঠ ছাড়লেন তখন দুই সতীর্থ এনামুল হক বিজয় ও শেখ পারভেজ জীবনের কাঁধে চড়ে মাঠ ছেড়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ইমরুল জানান, "প্রথমত বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি যখন বিসিবিকে (অবসরের) সিদ্ধান্তের কথা জানাই, তারা ব্যাপারটিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। আমাকে অনেকেই বলেছে, 'ভাই, আপনি আরও ২ বছর খেলতে পারতেন।' কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, আরও ২ বছর খেললে তারাই প্রশ্ন করত 'ভাই, আপনি কবে খেলা ছাড়বেন?' এই কথাগুলো শোনার চেয়ে নিজ থেকেই চলে যাওয়াটা ভালো মনে হয়েছে। সম্মান থাকা অবস্থাতেই সরে দাঁড়ানোর বোধশক্তি থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।"

এম এইচ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন