জাতীয়

গণহত্যার সুপ্রিম কমান্ডার ছিলেন পুলিশপ্রধান: চিফ প্রসিকিউটর

জুলাই গণহত্যার সুপ্রিম কমান্ডার ছিলেন সাবেক পুলিশ প্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার নেতৃত্বে গণহত্যা চালানো হয়েছে। বলেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

বুধবার (২০ নভেম্বর) সাবেক পুলিশ প্রধানসহ ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণহত্যা অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে তিনি এ কথা বলেন। 

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে তারা যেসব অপরাধ করেছে, সেগুলো শয়তানও করতে ভয় পাবে।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের অপরাধ বর্ণনা করতে গিয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, বলকান কসাইদের মতো জিয়াউল আহসান হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তার নেতৃত্বে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজ শুরু হয়। 

বুধবার সকালে প্রিজন ভ্যানে করে টাইব্যুনালে আনা হয় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেনকে। 

জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুনানি চলছে। 

গেলো ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে এই ৮ কর্মকর্তাকে হাজির করতে নির্দেশ দেন। 

পুলিশের সাবেক ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেয়া হয়। এর মধ্যে যারা গ্রেপ্তার রয়েছেন তাদের আনা হবে ট্রাইব্যুনালে।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন