১৫ আগস্টকে ‘জাতীয় শোক’ দিবসের ছুটি ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত
শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবসের ছুটি ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গেলো ১৩ আগস্ট রাতে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ১৫ আগস্টের ছুটি বাতিল করা হয়।
এতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে ব্যাপক ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঘোষিত ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিলের বিষয়টি অদ্যকার উপদেষ্টামণ্ডলীর বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
২০০৯ সালে ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করে হাইকোর্ট। যা এতদিন পালিত হয়ে আসছিলো। তবে চলতি বছর এটি পালন না করে স্থগিত করা হয়। এখন পুরো রায়টি স্থগিত চায় রাষ্ট্রপক্ষ।
সদ্য বিদায়ি শেখ হাসিনা সরকার ২০০৮ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছিল। তবে গেলো ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর ১৩ আগস্ট এ বছরের ছুটিটি বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল। তখন দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়েছিল।
কিন্তু বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় এসে ২০০২ সালে জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে। ছয় বছর পর হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে ১৫ই অগাস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পুনর্বহাল করে।
এদিকে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণার হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। আপিল বিভাগে যা শুনানি জন্য আগামী রোববার (০৮ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
এসি//