বাংলাদেশ

সাংবাদিকতার ইতিবাচক সম্ভাবনার দিকে তাকাতে চাই: টিআইবি

ছবি: সংগৃহীত

গণমাধ্যমগুলো যদি জনস্বার্থ, জনকল্যাণকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতে না পারে- তবে তাদের ওপর থেকে চাপ কমবে না। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুর্নীতিবিরোধী অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০২৪ ঘোষণা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা (আইজে) কনক্লেভ উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'এটা সত্য যে, গণমাধ্যমের ওপর চাপ এখনো আছে। তবে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো যদি জনস্বার্থ, জনকল্যাণকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতে না পারে, তাহলে এ পরিস্থিতি পরিবর্তন কখনোই হবে না। গণমাধ্যমের শীর্ষ নেতৃত্বকে সম্পাদকীয় নীতিমালাকে অক্ষুণ্ন রেখে কাজ করতে হবে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন সেখানে যেন কোনো প্রভাব না ফেলে। আমরা দেখছি, বর্তমানে সাংবাদিকতার মান অবশ্যই বেড়েছে। তাই আমরা নতুন বাংলাদেশে সাংবাদিকতার ইতিবাচক সম্ভাবনার দিকে তাকাতে চাই, আমরা আশা হারাতে চাই না।'

অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা ছাড়াও সিনিয়র সাংবাদিক, প্রতিযোগিতার বিচারকমণ্ডলীসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত অতিথিরা স্বাধীন গণমাধ্যম প্রসঙ্গে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেন, ‘বিগত সরকারের সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাধান্যের জায়গা হলো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। পরবর্তী সময়ে কোনো রাজনৈতিক সরকার এসে যেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীর বলেন, ‘গণমাধ্যমকে রাজনৈতিক ইতিহাস, সামাজিক ন্যায্যতার হিসেবে সমতা রাখতে হবে। একদিকে ভয় ও অন্যদিকে রাজনৈতিক দলের আনুকূল্য প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা সেল্ফ-সেন্সরশিপের দিকে নিয়ে যায়। এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করতে হবে।’

পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘অপতথ্য-ভুলতথ্য মোকাবিলার দায়িত্ব গণমাধ্যমেরই। সঠিক তথ্য-উপাত্ত, বিশ্লেষণের প্রবাহ নিশ্চিতের মাধ্যমে আমাদের তা করতে হবে।’

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, ‘বিগত সরকারের সময়ে আমরা বরাবরই সম্পাদকীয় নীতিমালাকে উপেক্ষিত থাকতে দেখেছি। জনস্বার্থকে বাদ দিয়ে রাজনৈতিক প্রভাবের বশবর্তী যাতে সামনের দিনে গণমাধ্যম না হয়, এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।‘

এম এইচ//

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন