লেডি ফেরাউন পালানোর পর ভারতের শ্যেন দৃষ্টি পড়েছে : সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা
বাংলাদেশের লেডি ফেরাউন পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে ভারতের হিন্দু নেতৃত্বের শ্যেন দৃষ্টি পড়েছে বাংলাদেশের দিকে। তাদের ইদানিংকালের কর্মকাণ্ড এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে বলে জানিয়েছেন, সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া ক্লাবে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে এ সভা আয়োজন করে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যবৃন্দ।
মুক্তিযোদ্ধা ও কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আহসানুল্লাহ বলেন, ‘আর কোনো নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নয়, সাম্যতার ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি চাই। কোনো ধরনের নতজানু নীতিকে কোনো অবস্থাতেই আমরা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেব না।ভারতের জনগণের সাথে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই। আপনারা আমাদের বন্ধু, কিন্তু ভারতের গেরুয়া পোশাকধারী হিন্দু আধিপত্যবাদকে আমরা কোনোভাবেই এ দেশে প্রশ্রয়-আশ্রয় দিতে রাজি নই ’।
তিনি বলেন, হজরত শাহজালাল, হজরত শাহ মখদুম, অতীশ দীপঙ্কর, শ্রী চৈতন্য, অনুকূল ঠাকুর, লোকনাথ ব্রহ্মচারী প্রমুখের আবাসভূমি এই বাংলাদেশ। যুগ যুগ ধরে এই শ্যামলভূমিতে সম্প্রীতির সাথে সব ধর্মের মানুষ বসবাস করে আসছে। কিন্তু সম্প্রীতি বাংলাদেশের লেডি ফেরাউন পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে ভারতের হিন্দু নেতৃত্বের শ্যেন দৃষ্টি পড়েছে বাংলাদেশের দিকে। তাদের ইদানিংকালের কর্মকাণ্ড এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মানিক দেওয়ান বলেন, দেশকে রক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষিত সব সৈনিক প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন যুদ্ধ উপযোগী এবং যে কোন শত্রু মোকাবিলায় প্রস্তুত। বর্তমান সেনাবাহিনী এখন ১৯৭১ সালের মতো নয় বলেসবাইকে তিনি মনে রাখতে বলেন।
সরকারের উদ্দেশে কর্নেল (অব.) লুৎফুল হক বলেন, ভারতের সঙ্গে সকল জাতীয় চুক্তিগুলো তুলে ধরুন। যেসব ভারতীয় বাংলাদেশে আছে, সেগুলো পুনর্বিবেচনা করে প্রয়োজন না থাকলে তাদের ফেরত পাঠানো হোক। যেসব ভারতীয় মিডিয়া সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে দেশে সেগুলো বাতিল করা হোক।
প্রসঙ্গত, সমাবেশ শেষে সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যসহ পাঁচ শতাধিক মানুষের অংশগ্রহণে একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি রাওয়া ক্লাব থেকে শুরু হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সংলগ্ন ক্রসিং হয়ে ঘুরে আবার রাওয়া ক্লাবে এসে শেষ হয়।
আই/এ