আলু-পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতের বিকল্প খুঁজছে বাংলাদেশ
আলু ও পেঁয়াজ আমদানিতে একক উৎস দেশ বা ভারতের ওপর নির্ভর না করে বিকল্প খুঁজছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) পেঁয়াজ ও আলু আমদানির জন্য মিশর, চীন, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশের নাম গেলো সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে প্রস্তাব করেছে।
গত বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) বাণিজ্য সচিব মো. সেলিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিটিটিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে আলু ও পেঁয়াজ বেশি আমদানি হয় ভারত থেকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমদানির জন্য বিকল্প দেশের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিটিটিসি আলু আমদানিতে চারটি দেশের কথা বলেছে। এগুলো হলো জার্মানি, মিশর, চীন ও স্পেন। পেঁয়াজের জন্য চীন, পাকিস্তান ও তুরস্কের কথা বলেছে সংস্থাটি।
বিকল্প উৎস থেকে আমদানির কারণ হিসেবে কমিশন জানায়, বর্তমানে ভারতের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজ ও আলুর মূল্যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল করতে ভারত রপ্তানি নিরুৎসাহিত করার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। তাই বিকল্প উৎস থেকে বাংলাদেশি আমদানিকারকদের উৎসাহিত করা যেতে পারে বলে মনে করে ট্যারিফ কমিশন।
বিটিটিসির প্রতিবেদনে ভারতে পেঁয়াজ ও আলু দামের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, গত ২ ডিসেম্বর ভারতে পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতি টন ৫৬৪ মার্কিন ডলার। এক মাস আগে যা ছিল টন প্রতি ৫১০ ডলার। এক বছর আগে দাম ছিল ২৪৪ ডলার। এক মাস আগের তুলনায় ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর এক বছর আগের তুলনায় বেড়েছে ১৩১ শতাংশ।
অন্যদিকে ২ ডিসেম্বর ভারতে আলুর দাম ছিল প্রতি টন ৩৫৫ ডলার, যা এক মাস আগে ছিল ৩২৯ ডলার। এক বছর আগে আলুর দাম ছিল ২৬৬ ডলার। আলুর দাম ভারতে এক মাসে বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশ। এক বছরে বেড়েছে ৩৪ শতাংশ।
বিকল্প উৎসের বিষয়ে বিটিটিসির চেয়ারম্যান মইনুল খান জানান, একটা বা দুইটা উৎস ঝুঁকিপূর্ণ। এই যেমন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজের ট্রাক আসত দিনে ৪০ থেকে ৫০ টি। এখন আসছে ১০ থেকে ১২টি। এ ধরনের অসুবিধার জন্য সরকার বিকল্প পথ খুঁজছে।
আই/এ