রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদন
চিন্ময় প্রসঙ্গে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়েছে ইসকন, বিবৃতিটি মিথ্যা
আলোচিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তার নিয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইসকন বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম, এমন একটি খবর বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তবে, বাংলাদেশের তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান 'রিউমর স্ক্যানার' টিম বলছে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের ঘটনায় ইসকন কর্তৃপক্ষ ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি।
মূলত, ভারতের কৃষ্ণ কনশাসনেস সোসাইটি (KCS) নামের ভিন্ন একটি সংগঠনের এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টের ভিত্তিতে এই দাবিটি প্রচারিত হয়েছে।
রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধান বলছে, গণমাধ্যমগুলো 'Iskcon,Inc.' নামের এক এক্স অ্যাকাউন্টের প্রকাশিত পোস্টকে এই দাবির সূত্র হিসেবে উল্লেখ করেছে।
গত ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওই এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করা হয়। যেখানে দাবি করা হয়, ‘আমরা অত্যন্ত উদ্বেগজনক খবর পেয়েছি যে, ঢাকা মহানগর পুলিশ ইসকন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ নেতা শ্রী চৈতন্য কৃষ্ণ দাসকে আটক করেছে। ইসকনের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনো সম্পর্ক আছে—এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ অত্যন্ত নিন্দনীয়। অবিলম্বে বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়টি সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে এবং ইসকনের শান্তিপূর্ণ ও ইতিবাচক ভূমিকা তুলে ধরতে আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।‘
মূল বিষয়, 'Iskcon,Inc.' নামের এই এক্স অ্যাকাউন্টটি আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)-এর অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট নয়।
গণমাধ্যম নেত্র নিউজ এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তারা জানায়, 'Iskcon,Inc.' নামের এক্স অ্যাকাউন্টটি ভারতের রাজস্থানের জয়পুরভিত্তিক কৃষ্ণ কনশাসনেস সোসাইটি (KCS) নামের ভিন্ন একটি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটি পরিচালনা করেন এইচ জি গৌরাঙ্গ সুন্দর দাস।
এদিকে, ইসকনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ- কোথাও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের পর ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়ে কোনো বিবৃতি প্রকাশিত হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে দায়েরকৃত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হন বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন থেকে বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী।
এম এইচ//