জাতিসংঘের আহবান উপেক্ষা করে সিরিয়ায় ইসরাইলের বিমান হামলা
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আহবান উপেক্ষা করেই সিরিয়ায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। বিদ্রোহীদের হামলার জেরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেওয়ার পর এবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দিকে নজর তেলআবিবের।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়া দখল করে বিদ্রোহীরা যখন বিজয় উদযাপনে ব্যস্ত, তখন দখলদার ইসরায়েল গোটা গোলান মালভূমিসহ দক্ষিণ সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ দখল করে নিয়েছে। ইসরাইলের ধারাবাহিক বিমান হামলায় এরইমধ্যে সিরিয়ার অধিকাংশ সামরিক কাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শুক্রবার বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দামেস্কের নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিরিয়া সেনার চতুর্থ ডিভিশনের সদর দপাতর ও রাডার স্টেশন ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে একনায়ক আসাদের শাসন থেকে মুক্তির জন্য সিরিয়ার নাগরিকদের উৎসব পালনের জমায়েতেও বোমা ফেলেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান।
এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই পশ্চিম এশিয়া সফরে গিয়েছেন মার্কিনপররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি জর্ডনের সুলতান দ্বিতীয় আবদুল্লা এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
গেলো রোববার প্রেসিডেন্ট আসাদ সরকারকে উৎখাত করে সিরিয়ার রাজধানী দখল করেছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী। সিরিয়ার ক্ষমতার পালাবদলের পরেই নেতানিয়াহু সরকার জানিয়েছিল, সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা প্রতিরোধে একটি ‘নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল’ (বাফার জোন) গঠন করা হবে। আর তা হবে সিরিয়ার ভূখণ্ডে!
প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সালের যুদ্ধের পর গোলান মালভূমি সংলগ্ন ‘বিতর্কিত অঞ্চল’-এ যে বাফার জোন তৈরি করা হয়েছিল, তা ইতোমধ্যেই দখল করে নিয়েছে নেতানিয়াহুর বাহিনী। এর পরে ইসরায়েলি প্যারাট্রুপার এবং সাঁজোয়া বাহিনী ‘গ্রাউন্ড অপারেশন শুরু করেছে।
এমআর//