পালিয়ে যাওয়ার পর আসাদের প্রথম বিবৃতি
আমি সিরিয়া ছেড়ে যেতে চাইনি: বাশার আল আসাদ
সিরিয়া থেকে পালিয়ে মস্কোতে আশ্রয় নেয়া সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ প্রথমবারের মত একটি বিবৃতি দিয়েছে। সিরিয়ান সেনাবাহিনীর টেলিগ্রাম চ্যানেলে সোমবার এই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। এমনটি জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবৃতিতে আসাদ বলেন, সিরিয়াজুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে পড়ায় এবং ৭ ডিসেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যার দিকে সন্ত্রাসীরা দামেস্কে পৌঁছানোর ফলে প্রেসিডেন্টের ভাগ্য এবং তার দেশে অবস্থান ঘিরে সংকট তৈরি হয়। ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি ও আখ্যানের মাঝে এসব ঘটেছে। যার লক্ষ্য ছিল সিরিয়ার মুক্তি আন্দোলনের নামে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে আবারও পুনরুজ্জীবিত করা।
টেলিগ্রাম চ্যানেলে আরবি ও ইংরেজিতে প্রকাশিত বিবৃতিতে, ৮ ডিসেম্বর কী ঘটেছিলো এবং রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে কীভাবে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন তাঁর বর্ণনা দেন আসাদ।
তিনি বলেন, ‘সিরিয়া থেকে চলে যাওয়াটা পরিকল্পিত ছিল না। ৮ ডিসেম্বর (রোববার) রাজধানী দামেস্ক যখন বিদ্রোহীদের হাতে চলে যায়, তখন তিনি লাতাকিয়া প্রদেশে থাকা রাশিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে যান সেনাদের অভিযানে তদারকি দেখতে। সেসময় হামেইমিম ঘাটিও ব্যাপক ড্রোন আক্রমণের মুখে পড়ে এবং রাশিয়া তাঁকে বিমানে করে মস্কোতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
ঘাঁটিতে ছাড়ার মত কোন পরিস্থিতি না থাকায় রোববার সন্ধ্যায় তাঁকে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য মস্কো তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা করে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়। এটি এমন সময় ঘটে যখন যখন সিরিয়ার সেনাবাহিনীর সব ধরনের অবস্থান ভেঙ্গে পড়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পঙ্গু হয়ে যায়।
আসাদ বিবৃতিতে আরও বলেন ‘যখন রাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের হাতে পড়ে এবং একটি অর্থপূর্ণ অবদান রাখার সামর্থ্য হারিয়ে যায়, তখন যে কোন ধরনের অবস্থান উদ্দেশ্যহীন হয়ে পড়ে।’
গেলো ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে পতন ঘটে বাশার আল আসাদের। বাবা হাফেজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর ২০০০ সালে সিরিয়ার ক্ষমতায় আসেন আসাদ। এরপর প্রায় তিন দশক ধরে শক্ত হাতে শাসন করেন সিরিয়া।
এনএস/