আন্তর্জাতিক

সমালোচনার মুখে হিজাবসংক্রান্ত আইন স্থগিত করলো ইরান

ছবি: বিবিসি

বিতর্কিত হিজাববিষয়ক আইন স্থগিত করেছে ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল।  শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) থেকেই দেশটিতে এ আইন কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, আইনটি 'অস্পষ্ট এবং সংস্কারের প্রয়োজন' বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের  মাধ্যমে আইনটি পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

প্রস্তাবিত নতুন আইনে অনুযায়ী দেশটির নারী ও মেয়েদের চুল, হাতের বাহু ও পায়ের নিচের অংশ প্রদর্শনের জন্য কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছিল। দেশটির অধিকার কর্মীরা এর তীব্র সমালোচনা করছিলেন। 

এই আইনে অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে এবং কেউ যদি নিয়ম কানুনকে উপহাস করে তাহলে তাকে বড় জরিমানা এবং ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছিল। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ আইন নিয়ে তাদের শঙ্কার কথা বলে আসছিল। 

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ইরানের কর্তৃপক্ষ 'দমন পীড়নের দম বন্ধ করা প্রক্রিয়াকে আরও সুরক্ষিত করতে চাইছে'

দেশটির নারী ও পরিবার বিষয়ক সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসৌমে এবতেকার আইনটির সমালোচনা করে বলেছেন, 'নতুন আইন হলো ইরানের জনসংখ্যার অর্ধেকের জন্য একটি অভিযোগপত্র'

গেলো সপ্তাহে দেশটির জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী হিজাব পরিধান না করেই ইউটিউবে ভার্চুয়াল কনসার্ট লাইভ করছিলেন।যার ফলে তাকে গ্রেপ্তার করলে হিজাব বিতর্ক ভিন্ন মাত্রা পায়।

 দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় ওই কনসার্টটি।  আহমাদি ও তার ব্যান্ডের সহকর্মীদের ব্যাপক প্রতিক্রিয়ায় ও  মানুষের তীব্র প্রতিবাদের মুখে একদিন পরেই তাদের মুক্তি দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২২ পোশাকবিধি না মানার অভিযোগে মাহসা আমিনি নামে এক ইরানি নারীকে গ্রেপ্তার করা হয় । এরপর পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই দেশটিতে হিজাব ইস্যুতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

 

জেডএস 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন