অপরাধ

পরিচয় মিলেছে ৩০০ ফিট এলাকা থেকে উদ্ধার তরুণীর মরদেহের

রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়ক এলাকার লেক থেকে উদ্ধার হওয়া তরুণীর মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তার নাম সুজানা। তিনি রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ওই মরদেহটি শনাক্ত করেন সুজানার মা চম্পা বেগম।

সুজানা রাজধানীর কাফরুল থানার কচুক্ষেত এলাকার মৃত আব্বাস মিয়ার মেয়ে। তাদের বাসা ওই এলাকার তামান্না কমপ্লেক্সের পাশে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম।

পরিবারের উদ্ধৃত্তি দিয়ে তিনি জানান, সোমবার বিকেলে বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন সুজানা। এরপর রাতে তিনি আর বাসায় ফিরেননি। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মরদেহটি সুজানার বলে শনাক্ত করেন।

পুলিশ জানায়, উদ্ধার হওয়া মরদেহটি মিরপুরের বাসিন্দা সুজানার। তিনি ভাসানটেক সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। মরদেহের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া মোটরসাইকেলের হেলমেটটিও শনাক্ত করেছে পুলিশ। হেলমেটটি ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাব্যের বলে নিশ্চিত করেছে তার পরিবার।

তারা জানান, সুজানা ও কাব্য পরস্পর বন্ধু। তারা উভয়েই মিরপুরের বাসিন্দা। সুজানার মরদেহ মিললেও নিখোঁজ রয়েছে কাব্য। তাকে উদ্ধারে অভিযান চালছে বলে জানিয়েছেন রূপগঞ্জ থানার সাব-ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম।

এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, ‘নিহতের গলা ও মুখমণ্ডলে একাধিক আঘাতের ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। মরদেহের অবস্থা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, গত রাতে তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কের বউরারটেক এলাকায় পূর্বাচল উপ-শহরের ২ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর সেতুর নিচের লেকে এক তরুণীর মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে জানায়। পরে মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল সম্পন্ন করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। মরদেহের পাশ থেকে মোটরসাইকেলের একটি হেলমেট ও একটি ছোট ব্যাগ পেয়ে পুলিশ সেগুলো জব্দ করে।

পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদরের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। পাশাপাশি তার পরিচয় শনাক্তের জন্য নানা তৎপরতা শুরু করে থানা পুলিশসহ জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন