কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলে আখ মাড়াই উদ্বোধন আজ
দেশের সবচেয়ে বড় চিনিকল চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি ২০২৪-২৫ আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে গেলো ৬ ডিসেম্বর বয়লারে স্লো-ফায়ারিং শেষ করা হয়। চলতি বছরের মাড়াই মৌসুম সফল করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় আখ মাড়াইয়ের কার্যক্রম শুরু হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. লিপিকা ভদ্র উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাব্বিক হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা।
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ মৌসুমে প্রায় ৭০ হাজার টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ৪৫২ টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের মাড়াই মৌসুম চলবে ৬৫ দিন। শতকরা ৬ দশমিক ৩৬ ভাগ চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছে । চিনিকলটি প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ১৫০ টন আখ মাড়াই করবে। মিল জোনে এবার দণ্ডায়মান আখ রয়েছে ৫ হাজার ১০০ একর জমিতে।
উল্লেখ্য ১৮০৫ সালে মিঃ জন ম্যাকসওয়েল নামক এক ইংরেজ তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ভারতের কানপুরে জাগমু নামক স্থানে তখনকার একমাত্র মদের কারকানাটি চালু করেছিলেন। অতঃপর বিভিন্ন সময়ে এর নাম, স্থান, মালিকানা, উৎপাদন ও ব্যবসায়িক কর্মকান্ড পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত হতে থাকে। ১৮৪৭ সালে মিঃ রবার্ট রাসেল অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ঐ প্রতিষ্ঠানটির সাথে যুক্ত হন এবং কালক্রমে তা ক্রয় করে নেন। উত্তর ভারতের “রোজা” তে অবস্থানকালিন ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লবের সময় কারখানাটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অতঃপর তা পূনঃনির্মাণ পূর্বক জয়েন্ট স্টক কোম্পানী গঠন করে “কেরু এ্যান্ড কোং লিঃ” হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয। “রোজা”তে ব্যবসার উন্নিতি লাভ করলে আসানসোল ওকাটনীতে এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয। ১৯৩৮ সনে প্রাথমিক ভাবে দৈনিক ১০০০ টন আখ মাড়াই ও ১৮,০০০ প্রূফ লিটার স্পিরিট তৈরির লক্ষ্যে আরও একটি শাখা তদানীন্তন নদীয়া জেলার অন্তর্গত এই দর্শনাতে স্থাপন করা হয়। ১৯৬৫ সালের পাক ভারত যুদ্ধের পর এটি শত্রু সম্পত্তিতে পরিনত হয়। ১৯৬৮ সালে কেরু এ্যান্ড কোং (পাকিস্তান) লিঃ নামে আত্ম-প্রকাশ করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ করা হয় এবং তখন থেকে অন্যবিধি এটি কেরু এ্যান্ড কোং (বাংলাদেশ) লিঃ নামে বাংলাদেশ সুগার এ্যান্ড ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের অধীন পরিচালিত হয়ে আসছে।
জেডএস/