২০২৪ বিদায় গুণীজনদের এক বেদনাময় বছর

শোবিজ জগতের জন্য ২০২৪ সাল ছিল এক দুঃখ ভারাক্রান্ত অধ্যায়। বিনোদন অঙ্গনের বহু গুণী ব্যক্তিত্ব এ বছর না ফেরার দেশে চলে গেছেন। কেউ দীর্ঘ অসুস্থতার কারণে, কেউবা বেছে নিয়েছেন আত্মহত্যার পথ। আসুন, তাদের বিদায়ের এই মর্মস্পর্শী গল্পগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরি।
১৩ মার্চ আমরা হারাই প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদকে, যিনি আত্মহত্যার মাধ্যমে জীবন শেষ করেন। ১৭ আগস্ট স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগীতযোদ্ধা ওস্তাদ মিহির লালা সাহা পাড়ি জমান অনন্তের পথে। একই বছরের ১৭ অক্টোবর সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম আমাদের ছেড়ে যান। তাঁর সুরের অবদান চিরদিন বাঙালির হৃদয়ে অমলিন থাকবে।
চলচ্চিত্র জগতেও আমরা হারিয়েছি অনেককে। ৭ মে মৃত্যুবরণ করেন প্রখ্যাত পরিচালক এম এ আউয়াল। ২০ ডিসেম্বর ‘উজান ভাটি’ খ্যাত নির্মাতা সি বি জামান চলে যান না ফেরার দেশে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর চলচ্চিত্র কেবল বাঙালির গল্পই নয়, ছিল এক জীবন্ত আবেগ।
অভিনয় জগতে অন্যতম ক্ষতি ছিল বরেণ্য অভিনেতা মাসুদ আলী খানের মৃত্যু, যিনি ৩১ অক্টোবর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর দীর্ঘদিনের অসুস্থতা অভিনয়প্রেমীদের জন্য ছিল বেদনাদায়ক।
২৫ জুলাই ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে মারা যান। আর ২০ ডিসেম্বর আমরা হারাই কিংবদন্তি গিটারিস্ট মিনহাজ আহমেদ পিকলুকে, যিনি রকস্ট্রাটা ও অর্থহীনের মতো ব্যান্ডে তাঁর অনন্য গিটার সুর দিয়ে সংগীতপ্রেমীদের মন জয় করেছিলেন।
৫ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন বিখ্যাত গীতিকার ও সুরকার আবু জাফর। তিনি বেতার ও টেলিভিশনের একজন নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। ১৫ জানুয়ারি আমরা হারাই ষাটের দশকের কবি এবং গীতিকার জাহিদুল হককে, যাঁর লেখা সুবীর নন্দীর কণ্ঠে ‘আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়’ গানটি আজও জনপ্রিয়।
দীর্ঘদিন ক্যানসারে লড়াই করে ১০ নভেম্বর আমরা হারাই ছোট পর্দার অভিনেত্রী আফরোজা হোসেনকে। একইভাবে ২২ এপ্রিল ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে মৃত্যুবরণ করেন অভিনেতা অলিউল হক রুমি।
জেডএস/