যে কারণে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুলিভান ভারত গেলেন
দুদিনের সফরে নয়াদিল্লি গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। ৫ ও ৬ জানুয়ারী পর্যন্ত তিনি ভারতে অবস্থান করবেন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল, বিশেষ করে এশিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পশ্চিমা মিত্ররাও একই রকম বিবেচনা করে। আশা করা হচ্ছে সুলিভানের সফরে এই নীতি আরো দৃঢ় হবে।
সুলিভানের সফর প্রসঙ্গে একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অনেক জায়গায় চীনা বাঁধগুলো নিম্নধারার দেশগুলোর জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে মেকং অঞ্চলে, পরিবেশ ও জলবায়ু উভয় ক্ষেত্রেই এসব বিষয় ভারতীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হবে। দ্য ইকোনমিক টাইমস গতকাল ৪ জানুয়ারী এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেছেন, সফরে নয়াদিল্লির উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করবে ওয়াশিংটন। কার্বন নিঃসারণ কমাতে থ্রি গর্জেস ড্যামের মতো এক বৃহৎ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে চীন।
তিব্বতের সীমানার বাইরে এই ইয়ারলুং ঝাংবো নদীতে নতুন প্রস্তাবিত প্রকল্পটি করা হবে। । নদীটি ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত। এটি ভারতের অরুণাচল ও আসাম প্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
থ্রি গর্জেস ড্যামের চেয়ে এই প্রকল্পের ব্যয়ও অনেক বেশি। কারিগরি খরচসহ সব মিলিয়ে এই প্রকল্পের জন্য সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছে ৩৪ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রকল্পের কারনে প্রায় ১৪ লাখ লোককে পুনর্বাসন ব্যয়ও এখানে করা রয়েছে।
ইতোমধ্যে ভারত সরকার ঝাংবো নদীর ওপর তিব্বতে জলবিদ্যুত্ বাঁধ নির্মাণে চীনের পরিকল্পনার ব্যাপারে বেইজিংয়ের কাছে উদ্বেগ জানিয়েছে। তবে চীনা কর্মকর্তারা দাবি করছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশ বা নিম্নধারার জল সরবরাহের ওপর বড় প্রভাব ফেলবে না।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রে ভাটির দেশেরও কিছু অধিকার আছে। রাজনৈতিক ও বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে সেই অধিকারের কথা বারবার জানানো হয়েছে। সেই অধিকার ও স্বার্থের বিষয়ে ভারত পর্যবেক্ষণ করছে। সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও নেবে।
এনএস/