রাজনীতি

খুনি হাসিনা প্রতিটি জায়গায় গোপালগঞ্জের সিন্ডিকেট বসিয়েছে : সারজিস

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, খুনি হাসিনা প্রতিটি জায়গায় গোপালগঞ্জের সিন্ডিকেট বসিয়েছে। তার পরিবার প্রতিটি জায়গায় সিন্ডিকেট বসিয়েছে, সেগুলো শেষ করে প্রতিটি জায়গায় একটি সমতার সিস্টেম চাই।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে ভোলা জেলা শহরের সরকারি স্কুল খেলার মাঠ সংলগ্ন ইলিশ ফোয়ারা চত্বরে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস বলেন,  'বীরের জেলা ভোলা। এ জেলার বীর শহীদরা তাদের জীবন দিয়ে এ অভ্যুত্থান সফলআমরা এই বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন একটি ধারা দেখেছি যে ধারায় শুধু যখন ভোটের প্রয়োজন হত তখন অনেকে জননেতা সেজে জনগণের কাছে আসতো। কিন্তু গত ১৬ বছরে খুনি হাসিনা সেই ভোটের প্রয়োজনীয়তাও রাখেনি'।

তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের যে স্পিরিটকে সামনে রেখে মানুষ রক্ত ও জীবন দিয়েছে, বাংলাদেশকে নিয়ে যেসব স্বপ্ন তারা ধারণ করেন। সেই স্বপ্নগুলো একটি ঘোষণাপত্রে থাকার প্রয়োজন। কিন্তু ঘোষণাপত্রে যেসব কথা থাকবে তা যেন কয়েকজনের কথা না হয়, সেটি যেন হয় প্রত্যেকটি শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা হয়।

সমাবেশ থেকে ভোলায় আবাসিক গ্যাস সংযোগ, বরিশাল-ভোলা সেতু নির্মান এবং ভোলায় মেডিকেল কলেজ নির্মানের দাবির সাথেও একাত্মতা প্রকাশ করেন তিনি।

সমাবেশে জাতীয় জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন সরকারিভাবে শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়াসহ অভ্যুত্থানের সকল ইতিহাস সকল পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও জানান তিনি

এর আগে এদিন বেলা ১১টার দিকে সারজিস আলম ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা ভোলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট ভোলায় নিহত শহীদ জসিম উদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সহানুভূতি জানান। পরে জসিম উদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন তারা।

পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জুলাইয়ের প্রেরণা, দিতে হবে ঘোষণা-স্লোগানে সাতটি বিষয় ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে ভোলা জেলা শহরের বাংলাস্কুলের সামনে থেকে শুরু করে জেলার শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে সাধারণ মানুষের কাছে লিফলেট বিতরণ করেন তারা।

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন