জাতীয়

নির্বাচনের সময়সীমা সরকার ও রাজনৈতিক দল ঠিক করবে : জাতিসংঘ

বছরের মাঝে, না শেষে কোন সময়ে নির্বাচন হবে এটা সরকার ও এদেশের রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা সময়সীমা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আমরা নির্বাচনে শুধু কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিতে চাই। জাতিসংঘ কারিগরিসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন, জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি  এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন,আমরা নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেখা করতে এসেছি। নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচনের জন্য জাতিসংঘের কাছে চিঠি লিখে কারিগরি সহায়তা চেয়েছে। আনন্দের বিষয় এই নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছতার সঙ্গে গঠিত হয়েছে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমর্থন পাবে। আমরা এই কমিশনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবো।

গোয়েন লুইস বলেন, কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী তারা সহযোগিতা দেবেন ইসির অনুরোধে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। এ উদ্দেশ্যে প্রতিনিধিদল আগামীকাল বুধবার চট্টগ্রাম যাবে। সেখানে নির্বাচনী বিভিন্ন অংশীজন যেমন- রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে। প্রতিনিধি দল ফিরে এসে প্রতিবেদন দেবে।

তিনি জানান, জাসিংঘের পর্যালোচনা দলটি আগামী ১০ দিন সুশীল সমাজ, অ্যাকাডেমিয়া, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কমিউনিকেশন্স সহায়তা, ডিসইনফরমেশন প্রতিরোধ, তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার, ট্রান্সপোর্ট সহায়তাসহ অন্যান্য বিষয়ের কথা জানিয়েছে।

জাতিসংঘ এ ব্যাপারে কী করতে পারবে তা পর্যালোচনা করে বাংলাদেশকে জানাবে সফররত পর্যালোচনা দলটি। 

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন